নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় ভোটের দিন এক নারীকে (৪০) গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার আরেক আসামি ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ওই আসামির নাম মো. জামাল ওরফে হেঞ্জু মাঝি (৩৫)। শনিবার বিকেলে নোয়াখালীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শোয়েব উদ্দিন খানের আদালতে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এ নিয়ে এই মামলায় ১২ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে সাতজন আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন।
আদালতে মো. জামাল ওরফে হেঞ্জু মাঝির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক জাকির হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল শুক্রবার ভোরে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুর এলাকা থেকে হেঞ্জু মাঝিকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনা স্বীকার করেন এবং ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজি হন।
শনিবার বিকেলে আদালতে হাজির করা হলে মো. জামাল জবানবন্দি দেন। এ নিয়ে মামলায় এ পর্যন্ত এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি মো. সোহেলসহ সাতজন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন।
পরিদর্শক জাকির হোসেন বলেন, এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক তিন আসামিকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। পলাতক আসামির হলেন—২ নম্বর আসামি হানিফ (৩০), ৪ নম্বর আসামি চৌধুরী (২৫) ও ৮ নম্বর আসামি মোশারফ (৩৫)।
গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে ওই নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পরদিন তাঁর স্বামী ৯ জনের নাম উল্লেখ করে চরজব্বর থানায় মামলা করেন। মামলায় এ পর্যন্ত এজাহারভুক্ত ছয়জন এবং তদন্তে ও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে নাম আসা পাঁচজনসহ মোট ১২ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে সাতজন আসামি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এরই মধ্যে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।