গোপালগঞ্জে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলা
বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি তারেক রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে কটূক্তি করার অভিযোগে গোপালগঞ্জ শহরের লঞ্চঘাট জেলা বিএনপির একাংশের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধু কলেজ শাখা।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ওই কার্যালয়টি জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এইচ খান মঞ্জুর দোতলা বাড়ির নিচতলায় অবস্থিত।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহনেয়াজ খানের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের ১৫-২০ জন নেতা-কর্মী বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে অফিসে যান। মিছিলটি সেখানে পৌঁছানোর আগে কার্যালয়ের মূল গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা বিএনপি কার্যালয়ের সাইনবোর্ড ভেঙে তাতে অগ্নিসংযোগ করেন। এ ছাড়া দেয়ালে থাকা জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবিতে কালি লাগিয়ে দেওয়া হয়।
সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহনেয়াজ খান বলেন, ‘তারেক রহমান বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যে কটূক্তি করেছেন তাতে আমাদের মনে কষ্ট লেগেছে। আমরা গোপালগঞ্জের কোথাও তারেক রহমানের কোনো ছবি থাকতে দেব না। এ প্রত্যয়ের অংশ হিসেবে ব্যানারে আগুন ও ছবিতে কালি লেপন করা হয়েছে।’
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এইচ খান মঞ্জুর বলেন, ‘কোনো সভ্য সমাজে এ ঘটনা ঘটতে পারে না। কাজটি মোটেও ভদ্রোচিত নয়। এটি রাজনীতি নয়, অপরাজনীতি। এ ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না, আমি খুব আহত হয়েছি। আমি দলীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেব।’
গোপালগঞ্জ বিএনপি দুই ভাগে বিভক্ত। দলীয় কার্যালয়ও দুটি। এক ভাগের নেতৃত্ব দেন জেলা সভাপতি সিরাজুল ইসলাম। তিনি বসেন শহরের গেটপাড়া মহল্লার কার্যালয়ে। অপর অংশের নেতৃত্ব দেন জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মনসুর আলী। তিনি শহরের লঞ্চঘাট এলাকার কার্যালয়ে বসেন।