গৃহবধূকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, স্বামী আটক

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে রোজিনা খাতুন নামের এক গৃহবধূকে ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন। আজ শনিবার সকালে উপজেলার গুডুম্বা পূর্বপাড়া গ্রামে গৃহবধূর বাবার বাড়ির সামনে থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। রাতের আঁধারে রোজিনাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে তাঁর স্বামী ছুরিকাঘাত করেন বলে অভিযোগ। পুলিশ মেহেদী হাসান নামের ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে।

নিহত রোজিনা খাতুন (১৮) গুডুম্বা পূর্বপাড়া গ্রামের মকবুল হোসেনের মেয়ে। তাঁর স্বামী মেহেদী একই উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের হরিসারা গ্রামের বাসিন্দা। মেহেদীর দ্বিতীয় স্ত্রী রোজিনা।

পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রোজিনা খাতুন গুডুম্বা ফাজিল মাদ্রাসায় পড়ার সময় অটোরিকশাচালক মেহেদী হাসানের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। গত রমজান মাসে তিনি গোপনে মেহেদী হাসানকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর জানতে পারেন, মেহেদীর স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। এরপর রোজিনা আর স্বামীর বাড়িতে যাননি। বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এখানে তাঁর স্বামীর নিয়মিত আসা-যাওয়া ছিল। কয়েক দিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এ অবস্থায় রোজিনার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি করার কথা বলেন মেহেদী হাসান। রোজিনা গতকাল শুক্রবার বিকেলে বিয়ের কাবিননামার নকল তুলতে আক্কেলপুরে নিকাহ রেজিস্ট্রারের কাছে যান। সন্ধ্যায় মেহেদী শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে স্ত্রীকে পাননি। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হন। এরপর শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে যান। রোজিনা রাত আটটার দিকে বাবার বাড়িতে ফেরেন। আজ সকালে বাবার বাড়ি থেকে ১০ গজ দূরে রাস্তার পাশে রোজিনার লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন। শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল।

নিহত রোজিনার বাবা মকবুল হোসেন বলেন, ‘রাত তিনটার দিকে মেহেদী আমাদের বাড়িতে আসে। মেয়েকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে নিয়ে যায়। বিয়ের কাবিনামার নকল তুলতে যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে মেহেদী আমার মেয়েকে ছুরিকাঘাত হত্যা করেছে।’

এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে সকাল সাতটায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। এরপর মেহেদী হাসানকে গোপীনাথপুর এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ।

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ওবায়েদ শনিবার সকালে বলেন, লাশ উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। রোজিনার স্বামীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।