গরুর খামারে তৈরি হচ্ছিল সেমাই, ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ধরা
বাঁশের বেড়া ও টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি লম্বা একটি গরুর খামার। সেই খামারের মাঝামাঝি সারি সারি বসানো গরুকে খাবার দেওয়ার চাড়ি। সেগুলো আবর্জনায় ভরা। চারদিক থেকে হু হু করে ঢুকছে ধুলা-বালি। পাকা মেঝেটিও নোংরা।
সেখানেই চাড়িগুলোর ওপরে টিনের ট্রে বসিয়ে কারিগরেরা ঘর্মাক্ত শরীরে নিম্নমানের পণ্য দিয়ে তৈরি করছিলেন সেমাইয়ের খামির। প্রচণ্ড গরমে কারিগরদের শরীর চুইয়ে ঘাম পড়ছিল খামিরের ওপর। তৈরির পর খামির রাখা হচ্ছিল নোংরা মেঝেতে। পাশেই নোংরা তেলে ভাজা হচ্ছিল সেমাই। এভাবেই দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার বিনোদনগর গ্রামে মো. শাহিন মিয়া নামের এক ব্যক্তি গরুর খামারে অবৈধভাবে তৈরি করছিলেন ঈদের জন্য লাচ্ছা সেমাই।
নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মশিউর রহমান আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ ও স্যানিটারি ইন্সপেক্টরদের নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালান সেখানে। অভিযানে সেমাই কারখানাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়, ধ্বংস করা হয় সেমাই তৈরির সব উপকরণ। এ ঘটনায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
শাহিন মিয়া ওই গ্রামের মৃত জফুর মিয়ার ছেলে। তিনি জানান, গরুর খামারে লোকসান হওয়ায় সেটি বন্ধ করে সেমাইয়ের কারখানা করেছেন। তবে শুধু এবারের রমজানেই সেমাই কারখানাটি চালু করা হয়। অবশ্য এলাকাবাসী বলছেন, শাহিন মিয়া সারা বছরই ওই গরুর খামারে সেমাই তৈরি করেন।
ইউএনও মশিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, প্রত্যন্ত গ্রামে গোপনে গরুর খামারে অবৈধভাবে সেমাই তৈরি করা হচ্ছে, এমন খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। নবাবগঞ্জে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে অভিযান অব্যাহত থাকবে। এর পাশাপাশি বৃহস্পতিবার নবাবগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য জব্দ করে ধ্বংস ও জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।