কুষ্টিয়ার নিখোঁজ কলেজছাত্রীর কঙ্কাল চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার

লাশ
প্রতীকী ছবি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে তিন মাস আগে নিখোঁজ কলেজছাত্রী মিম খাতুনের (১৮) কঙ্কাল চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় মাথাভাঙ্গা সেতুর কাছ থেকে কঙ্কাল ও সঙ্গে থাকা আলামত উদ্ধার করে।

মৃত্যুরহস্য জানতে ময়নাতদন্ত ও ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য কঙ্কালটি গতকাল রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

মিম খাতুন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পিপুলবাড়িয়া গ্রামের মধু খানের মেয়ে এবং মিরপুর উপজেলার আমলা সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। মধু খান কঙ্কালের সঙ্গে পাওয়া আলামত দেখে এটি তাঁর মেয়ের বলে শনাক্ত করেছেন।

মধু খান পুলিশকে বলেন, প্রায় তিন মাস আগে মিম তাঁর নানাবাড়ি মিরপুর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে বের হন। পথে মেয়ে নিখোঁজ হন। তারপর আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন এক তরুণের নাম পুলিশকে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।

দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজনের ভাষ্য, গতকাল বিকেলে মাথাভাঙ্গা সেতুর কাছে নদীতে গোসল করতে গিয়ে কয়েকজন কঙ্কাল দেখতে পান। বিষয়টি তাঁরা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হজরত আলীকে জানালে তিনি পুলিশকে জানান। এরপর তা মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশের একটি বিশেষ দল ঘটনাস্থলে যায় এবং কঙ্কাল ও আশপাশে থাকা সালোয়ার-কামিজ ও একটি ভ্যানিটি ব্যাগ উদ্ধার করে। ভ্যানিটি ব্যাগের ভেতরে একটি পাসপোর্ট আকারের অস্পষ্ট ছবি ও চার বছর আগের জেএসসি সনদ পাওয়া যায়। দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ জেএসসি সনদের সূত্র ধরে দৌলতপুর থানার পুলিশ ও মিম খাতুনের স্বজনদের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন।

দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল খালেক প্রথম আলোকে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, কলেজছাত্রী মিমকে বেড়ানোর কথা বলে নির্জন কোনো স্থানে নিয়ে খুন করে নদীতে লাশ ভাসিয়ে দেওয়া হয়। লাশটি ভাসতে ভাসতে দামুড়হুদায় চলে আসে এবং নদীর পানি কমে যাওয়ার পর কঙ্কাল বেরিয়ে আসে।