কিলঘুষিতে যুবক নিহত, অভিযোগ বখাটে কিশোরের বাবার বিরুদ্ধে
বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় বৃহস্পতিবার সকালে অমৃত রায় (৩২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। পরিবারের অভিযোগ, অমৃত রায়ের এক ভাবির সম্ভ্রমহানির চেষ্টা করে প্রতিবেশী এক কিশোর। ওই কিশোরকে আটকে রাখায় তার বাবা এসে অমৃতকে কিলঘুষি মেরে হত্যা করেন।
নিহত অমৃত রায়ের বাড়ি গাবতলী উপজেলার নেপালতলী ইউনিয়নের পার কাঁকড়া ভাঙ্গিরপাড়ায়। তাঁর বাবার নাম অনীল রায়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অমৃত রায়ের ভাই বৃহস্পতিবার সকালে ইজিবাইক চালাতে বাড়ি থেকে বের হন। এ সময় তাঁর স্ত্রী (২৫) বাড়িতে একাই ছিলেন। এ সুযোগে সকাল সাতটার দিকে প্রতিবেশী এনামুল হকের কিশোর ছেলে ওই বাড়িতে প্রবেশ করে। সে ওই গৃহবধূকে জাপটে ধরার চেষ্টা করে। গৃহবধূ চিৎকার শুরু করলে দেবর অমৃত রায়সহ আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তারা বখাটে ওই কিশোরকে আটক করেন। খবর পেয়ে তার বাবা এনামুল হক সেখানে যান। তিনি ছেলেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়।
অমৃত রায়ের শ্যালক কনক মজুমদার বলেন, সালিস ছাড়া ওই বখাটে কিশোরকে ছাড়া যাবে না বলে জানিয়ে দেন অমৃত রায়। এতে ক্ষুব্ধ হন তার বাবা এনামুল। তিনি প্রথমে অমৃত রায়ের গলার টুঁটি চেপে ধরেন। পরে কিলঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন। এ সময় বুকে আঘাত পেয়ে অমৃত রায় অচেতন হয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
বগুড়ার সহকারী পুলিশ সুপার (গাবতলী-সারিয়াকান্দি সার্কেল) সাবিনা ইয়াসমিন প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। ঘটনার পর থেকে এনামুল হক এবং তাঁর কিশোর ছেলে পলাতক। তাঁদের আটকের চেষ্টা চলছে। থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।