কথা-কাটাকাটির জের ধরে চুরির মামলা, সংঘর্ষ
নেত্রকোনার মদনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে স্থানীয় নায়েকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমানসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। আজ শনিবার বিকেলে নায়েকপুর ও বাঁশরী গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে প্রায় চার ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল আজহার দিন বাঁশরী বাজার ট্রলার ঘাটে যাত্রী নেওয়াকে কেন্দ্র করে বাঁশরী গ্রামের ট্রলারচালক নুরুল ইসলামের সঙ্গে নায়েকপুর গ্রামের ট্রলারচালক জাসদ মিয়ার কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর পরদিন নায়েকপুর গ্রামের সবুজ ব্যাপারী নামে এক ব্যক্তি বাঁশরী গ্রামের জালাল উদ্দিনকে প্রধান করে ওই গ্রামের আরও ২৫ জনকে আসামি করে থানায় একটি চুরির মামলা করেন। এর জের ধরে আজ বেলা ১১টার দিকে বাঁশরী বাজারের সেতু এলাকায় দুই গ্রামের বেশ কয়েকজনের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের থামাতে সক্ষম হন। এর প্রায় তিন ঘণ্টা পর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। থেমে থেমে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলা ওই সংঘর্ষ সন্ধ্যার দিকে পুলিশ নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে নায়েকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমানসহ প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
আহত লোকজনের মধ্যে তিনজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ১০ জনকে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। সন্ধ্যা সাতটার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নায়েকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান বলেন, ‘দুগ্রামের বাসিন্দাদের ঝগড়া থামাতে গিয়ে আমি কিছুটা আহত হয়েছি। তবে পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।’
জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খালিয়াজুরি সার্কেল) জামাল উদ্দিন বলেন, ‘দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ট্রলারে যাত্রী পরিবহন নিয়ে প্রথমে ঝগড়া হয়। এরপর একজন বয়স্ক হাজি ব্যক্তিকে চুরির মামলার আসামি করায় আজ শনিবার উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। এ নিয়ে থানায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।’