একইভাবে শিশুটির চাচাতো ভাইকে হত্যা
বাগেরহাটের চিতলমারীতে একটি ডোবা থেকে রিফাত তালুকদার নামের পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে চিতলমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চৌদ্দহাজারী গ্রামের একটি বাগানের ডোবা থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত হয়। প্রতিবেদনে দেখা যায়, শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ডোবার পানিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পাঁচ মাস আগে একইভাবে শিশুটির চাচাতো ভাইয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত রিফাত তালুকদার চৌদ্দহাজারী গ্রামের আবদুল মান্নান তালুকদারের ছেলে।
পরিবারের তথ্যের বরাত দিয়ে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ আবজাল বলেন, গতকাল বেলা ১টার দিকে রিফাত তার মাকে পাশের বাড়িতে খেলতে যাচ্ছে বলে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু ফিরে না আসায় তার মা তাকে খুঁজতে বের হন। পাশের বেশ কয়েকটি বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করেও পাননি। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে স্থানীয় দুই শিশু প্রতিবেশী মুকুল হালদারের বাড়ির বাগানে সুপারি কুড়াতে গিয়ে ডোবায় একটি লাশ ভাসতে দেখে চিৎকার শুরু করে। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ রিফাতের লাশ উদ্ধার করে।
মাহফুজ আবজাল বলেন, শিশুটির শরীরের বাইরের অংশে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ লুকিয়ে ফেলতে এই ডোবায় ফেলা হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। কারা কেন শিশুটিকে এভাবে হত্যা করল, এ বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
এ ঘটনায় চিতলমারী থানায় মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে পুলিশ কাজ শুরু করেছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
এর আগে গত জুনে একইভাবে রিফাতের চাচাতো ভাই খালিদ তালুকদারের (৬) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ১৭ জুন বাড়ির পাশে মাছের একটি ঘের থেকে ওই শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। খালিদ তালুকদার ছিল মান্নান তালুকদারের বড় ভাই কাওসার তালুকদারের ছেলে।এ ঘটনায় কাওসার তালুকদার বাদী হয়ে চিতলমারী থানায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় কয়েকজন আটক হলেও হত্যার রহস্য এখনো উদ্ঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।
গত সোমবার জেলার ফকিরহাট উপজেলার একটি ডোবা থেকে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।