ইরফান ও তাঁর দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে আরও চারটি মামলা
ইরফান সেলিম ও তাঁর দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে রাজধানীর চকবাজার থানায় আরও চারটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ইরফানের বিরুদ্ধে দুটি মামলা ও জাহিদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়েছে। অস্ত্র ও মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলাগুলো করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে মামলাগুলো করা হয়েছে। চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুদ হাওলাদার মামলার বিষয়টি জানিয়েছেন।
নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যাচেষ্টা মামলায় ইরফান সেলিম ও তাঁর দেহরক্ষী জাহিদকে আজ তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। সাত দিনের রিমান্ড চাইলে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এই মামলার আরেক আসামি এ বি সিদ্দিক ওরফে দীপুকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
ইরফান সেলিমকে নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধ এবং অসদাচরণের অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল স্থানীয় সরকার বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানানো হয়।
রোববার রাতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধরের জেরে পরদিন সোমবার পুরান ঢাকার বড় কাটরায় ইরফানের বাবা সরকারদলীয় সাংসদ হাজি সেলিমের বাড়িতে দিনভর অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদক রাখার দায়ে ইরফান সেলিমকে এক বছর কারাদণ্ড দেন। অবৈধ ওয়াকিটকি রাখার কারণে দিয়েছেন ছয় মাসের কারাদণ্ড। ইরফানের দেহরক্ষী মো. জাহিদকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে ছয় মাস সাজা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানে ওই বাড়ি থেকে অস্ত্র, ইয়াবা, ৩৮টি ওয়াকিটকি ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
গত রোববার রাতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খান স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে পেছন থেকে তাঁর মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয় সংসদ সদস্যের স্টিকারযুক্ত একটি গাড়ি। ওয়াসিফ নিজের পরিচয় দিলেও গাড়ি থেকে নেমে একজন গালিগালাজ করে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যান। এরপর গাড়িটি কলাবাগান বাসস্ট্যান্ড সিগন্যালে দাঁড়ালে ওয়াসিফ মোটরসাইকেল নিয়ে সেখানে গিয়ে গাড়িটির জানালায় নক করেন। তখন গাড়ি থেকে লোকজন নেমে ওয়াসিফকে মারধর করে রক্তাক্ত করেন। তাঁর একটি দাঁত পড়ে যায়। ওই গাড়িতে হাজি সেলিমের ছেলে ইরফান ও তাঁর লোকজন ছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে পরদিন সকালে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন ওয়াসিফ।