আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল হত্যা: চার আসামি রিমান্ডে, খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার হয়নি
রাজধানীর মতিঝিল থানার সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ওরফে টিপু হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও মোটরসাইকেল এখনো উদ্ধার হয়নি। গ্রেপ্তার হননি ‘শুটার’ মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশের সহযোগীও, যিনি মোটরসাইকেল চালিয়েছিলেন।
মামলার তদন্ত সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, জাহিদুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও মোটরসাইকেল উদ্ধার এবং মাসুমের সহযোগীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে জাহিদুল ইসলামকে হত্যার পরিকল্পনায় যুক্ত র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার চার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ চারজন হলেন মতিঝিল থানার ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদ্য বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, আবু সালেহ শিকদার ওরফে শুটার সালেহ, নাসির উদ্দিন ওরফে কিলার নাসির ও মোরশেদুল আলম ওরফে কাইল্যা পলাশ।
গ্রেপ্তার চার আসামির বিষয়ে গত শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব জানায়, অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রণ, মতিঝিল এলাকায় চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, স্কুল-কলেজে ভর্তি-বাণিজ্য, কাঁচাবাজারসহ বিভিন্ন বাজারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে জাহিদুলকে হত্যা করা হয়। আওয়ামী লীগ নেতা ওমর ফারুক এ হত্যার পরিকল্পনায় সরাসরি যুক্ত। তিনি জাহিদুলের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে সমন্বয় করে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন।
ওমর ফারুকসহ চারজনকে র্যাব মামলার তদন্তকারী সংস্থা ডিবির কাছে হস্তান্তর করে। ডিবি তাঁদের গতকাল রোববার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চায়। আদালত প্রত্যেকের পাঁচ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ মামলায় এর আগে গ্রেপ্তার হওয়া শুটার মাসুমকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবি।
গত ২৪ মার্চ রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুরে ব্যস্ত সড়কে গুলি করে জাহিদুল ইসলামকে হত্যা করা হয়। তখন দুর্বৃত্তদের এলোপাতাড়ি গুলিতে যানজটে আটকা পড়ে রিকশায় বসে থাকা কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
এ ঘটনায় ডিবি সন্দেহভাজন হিসেবে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আরফান উল্লাহকে গ্রেপ্তার ও একটি অস্ত্র উদ্ধার করে। অস্ত্র মামলায় এক দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল আরফানকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত নতুন করে তাঁর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।