সাবরিনা-আরিফুলসহ ৮ জনের ১১ বছর করে কারাদণ্ড
করোনার ভুয়া প্রতিবেদন দেওয়ার মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান চিকিৎসক সাবরিনা আরিফ চৌধুরী, তাঁর স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনকে ১১ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) তোফাজ্জল হোসেন এ রায় দেন। প্রথম আলোকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন এই আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আজাদ রহমান।
দণ্ডিত অপর ছয় আসামি হলেন জেকেজির সমন্বয়ক সাঈদ চৌধুরী, জেকেজির সাবেক কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, তাঁর স্ত্রী তানজিনা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম ও জেবুন্নেসা।
রায় ঘোষণা উপলক্ষে সাবরিনা, আরিফুলসহ অন্য আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
করোনার নমুনা জালিয়াতির মামলায় সাবরিনা, আরিফুলসহ আটজনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ২০ আগস্ট অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এ মামলায় ৪০ সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
করোনার নমুনা সংগ্রহ ও ভুয়া প্রতিবেদন দেওয়ার অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ জুন জেকেজি হেলথ কেয়ারের সিইও আরিফুল, কর্মচারী হুমায়ুন কবির, তাঁর স্ত্রী তানজিনা পাটোয়ারীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানার পুলিশ।
পরদিন ২৪ জুন হুমায়ুন ও তানজিনা ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
একই বছরের ১২ জুলাই সাবরিনাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ।
জালিয়াতির ঘটনায় কামাল হোসেন নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ১৩ আগস্ট সাবরিনাসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, এই জালিয়াতিতে প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন সাবরিনা ও তাঁর স্বামী আরিফুল।