ঢাকায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর টাঙ্গাইলের স্কুলে লুকিয়ে ছিলেন তিনি: পুলিশ
রাজধানীর উত্তরা এলাকায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. রুবেল মিয়া (৩০) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার বিকেলে টাঙ্গাইল থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ বলছে, সেখানকার একটি স্কুলে ওই ব্যক্তি লুকিয়ে ছিলেন।
পুলিশ বলছে, ধর্ষণের শিকার ১২ বছর বয়সী শিশু চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার যুবক মূলত ওই স্কুলছাত্রীর বাবার দোকানেরই কর্মচারী। ধর্ষণের পরে ঢাকা থেকে পালিয়ে টাঙ্গাইলের একটি স্কুলে লুকিয়ে ছিলেন রুবেল। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে স্কুল বন্ধ ছিল। গতকাল সেই স্কুল থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন প্রথম আলোকে বলেন, ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর বাবা একজন মুদিদোকানি এবং মাংস ব্যবসায়ী। তার মা–বোনও ওই দোকানে বসেন। আর রুবেল সেই দোকানের কর্মচারী। তিন মাস ধরে তিনি এখানে চাকরি করছিলেন।
দোকানের সঙ্গেই ছিল তাদের (ভুক্তভোগীর) বাসা। রুবেল প্রতিদিনই সেই বাসায় যেতেন। ১২ জুলাই বকেয়া টাকা আদায়ে বাইরে যান ভুক্তভোগীর বাবা। বাবা বাইরে যাওয়ায় সেদিন দোকানে বসেছিলেন ভুক্তভোগীর মা ও বোন। আর এই সুযোগে টিভি দেখবেন বলে বাসায় যান রুবেল। বাসায় স্কুলছাত্রীকে একা পেয়ে তাকে ধর্ষণ করেন।
ওসি মহসীন আরও বলেন, রাতে সবাই বাসায় ফিরলে ধর্ষণের শিকার মেয়েটি সব বলে দেয়। এটা জানতে পেরে রুবেল পালিয়ে টাঙ্গাইলে চলে যান। পরে মেয়েটির পরিবার থানায় মামলা করলে টাঙ্গাইল সদর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।