হত্যার পর লাশের পাশে ফেলে যান ছিনতাই করা ব্যাগ

রমজান আলী
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর খিলক্ষেত থেকে গত ২৩ মে মোহাম্মদ মেসের আলী (৬৭) নামের এক কৃষকের লাশ উদ্ধার হয়। লাশের পাশে পড়ে ছিল একটি ব্যাগ। সে ব্যাগের সূত্র ধরে শনাক্ত করার পর সন্দেহভাজন খুনি রমজান আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে লাশের পাশে থাকা সে ব্যাগ রমজানের ছিল না।

পুলিশ জানায়, গত রোববার রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা এলাকা থেকে রমজান আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। রমজান ‘অজ্ঞান পার্টির’ সদস্য। উদ্ধার ব্যাগটি ছিনতাই করেন তিনি।

২০ মে খিলক্ষেতের বড় গরুয়া এলাকার বাসিন্দা মেসের আলী নিখোঁজ হন। তাঁর পরিবার বিষয়টি পুলিশকে জানায়। এর তিন দিন পর একই এলাকার বালুর চর থেকে উদ্ধার হয় তাঁর লাশ।

পুলিশ জানায়, মেসের আলীর লাশের পাশ থেকে উদ্ধার ব্যাগটি ছিল শাহাবুদ্দিন নামের আরেক ব্যক্তির। ব্যাগে থাকা জন্মনিবন্ধন সনদ ও টিকা কার্ডের সূত্র ধরে পুলিশ শাহাবুদ্দিনকে শনাক্ত করে।

মেসের আলীর লাশের পাশ থেকে উদ্ধার করা সেই ব্যাগ
ছবি: সংগৃহীত

শাহাবুদ্দিন পুলিশকে জানান, গত ঈদুল ফিতরের আগে কমলাপুর থেকে নেত্রকোনায় যাচ্ছিলেন তিনি। পথে এক প্রবীণ ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয়। ওই ব্যক্তি শাহাবুদ্দিনকে জানান যে তাঁর বাড়িও নেত্রকোনায়। পরে বাসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে শাহাবুদ্দিনকে ওই ব্যক্তি কারওয়ান বাজার নিয়ে যান। কারওয়ান বাজারে চা খাওয়ার পর তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। চেতনা ফিরলে দেখেন, তাঁর ব্যাগ ও সঙ্গে থাকা টাকা নেই। চায়ে ওষুধ দিয়ে অচেতন করা হয় বলে ধারণা শাহাবুদ্দিনের।

পুলিশ জানায়, রমজান অজ্ঞান পার্টির সদস্য। বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশনসহ রাজধানীতে ঘুরে ঘুরে কৌশলে মানুষের সঙ্গে সখ্য গড়েন। পরে চায়ের মধ্যে চেতনাশক ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে সব লুটে নেন। মেসের আলীর চায়ে ওষুধ মিশিয়ে তাঁর চার হাজার টাকা কেড়ে নেন তিনি।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আসামিকে শনাক্ত করার পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।