সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম ৫ দিনের রিমান্ডে
সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলামকে (সুজন) পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেন আজ রোববার এ আদেশ দেন।
নূরুল ইসলামকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। পরে নূরুল ইসলামের আইনজীবীরা রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত নূরুল ইসলামের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
১৭ সেপ্টেম্বর যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা ইমরান হাসান হত্যা মামলায় নূরুল ইসলামের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে নূরুল ইসলামের আইনজীবীরা আদালতকে জানান, ইমরান হাসান হত্যা মামলায় হাইকোর্টে জামিন শুনানি হয়েছে, আদেশের জন্য রেখেছেন আদালত। পরে বিচারিক আদালত নূরুল ইসলামকে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ স্থগিত করেন।
মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, শেখ হাসিনার সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির মধ্যে গত ৫ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ইমাম হাসান। অন্যদিকে রফিকুল ইসলাম গত ১৮ জুলাই যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন। পরদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এই মামলায় নূরুল ইসলামকে রিমান্ডে নেওয়া হলো।
১৬ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে নূরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নূরুল ইসলাম ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পঞ্চগড়-২ আসন থেকে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হয়েছিলেন। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এরপর টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি তিনি রেলমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, উপদেষ্টা ও শীর্ষ পর্যায়ের নেতা মিলিয়ে বিভিন্ন পেশার ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং জ্বালানি, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী রয়েছেন। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ কেউ রিমান্ডে পুলিশি হেফাজত আছেন, কেউ কেউ কারাগারে।