প্রতারণার অভিযোগে পুলিশের বিরুদ্ধে স্ত্রীর মামলা

আদালতে মামলাপ্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামে ট্রাফিক পুলিশের এক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেছেন তাঁর স্ত্রী। আজ বুধবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে মামলাটি করা হয়। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।

ওই সার্জেন্টের নাম ইকবাল হোসেন। তিনি বর্তমানে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত। আর বাদী চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক।

ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী নুরে হুদা প্রথম আলোকে বলেন, আদালত বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে বিষয়টি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে এই সার্জেন্ট এবং চিকিৎসকের বিয়ে হয়। ওই নারীর মা-বাবা ইতালিপ্রবাসী। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নানাভাবে চাপ দিয়ে ও নির্যাতন করে আসছেন ইকবাল। ঢাকার সাভারে থাকা তাঁর (বাদী) পাঁচতলা বাড়ি ও ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার নিজের নামে লিখে দিতে চাপ দিচ্ছিলেন ইকবাল। এতে রাজি না হওয়ায় ওই বছরের ২৫ জুলাই যৌতুকের জন্য চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জের বাসায় স্ত্রীকে মারধর করেন তিনি।

মারধরের ঘটনায় ২০২১ সালের ২৬ আগস্ট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ চট্টগ্রামে মামলা করেন ইকবালের স্ত্রী। পরে আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। তাঁকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ২০২২ সালের ২ জানুয়ারি ইকবালের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে বাদী মা হন। স্ত্রী-সন্তানের ভরণপোষণের জন্য মাসিক টাকা দেওয়ার অঙ্গীকার করলে গত বছরের ২৩ আগস্ট মামলা তুলে নেন বাদী। কিন্তু ছয় মাস পার হলেও ভরণপোষণ না দেওয়ায় ইকবালের স্ত্রী আজ বুধবার আদালতে মামলা করেন।

স্ত্রীর করা মামলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইকবাল হোসেন আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি তো ভরণপোষণের টাকা পাঠিয়েছি। না নিলে কী করব।’