সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, শাহীন চাকলাদার ও শওকত হাচানুরের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

গাইবান্ধার সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ১০০ কোটি টাকা মূল্যের জমির মালিক হয়েছেন বলে তথ্য পেয়েছে দুদক। একই সঙ্গে তাঁর ৪টি বাড়ি, ৬টি ফ্ল্যাট ও ২০টি বাস-ট্রাক কেনার তথ্য পেয়েছে দুদক। এ নিয়ে অনুসন্ধান করছে দুদক।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জানতে পেরেছে, আবুল কালাম আজাদ ও তাঁর স্ত্রী বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন। তাই তাঁদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করে দুদক। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন আজ বুধবার নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।

দুদকের পক্ষ থেকে এক প্রতিবেদন দিয়ে আদালতকে জানানো হয়, সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। আবুল কালাম আজাদ গোবিন্দগঞ্জে ১০০ কোটি টাকার জমি, ছয়তলা বাড়িসহ ৬টি ফ্ল্যাট, বগুড়া শহরে ২টি বাড়ি, মোহাম্মদপুরে ১টি বাড়ি, গাজীপুরে গার্মেন্টস কারখানাসহ ২০টি বাস-ট্রাক কিনেছেন। আবুল কালাম আজাদ ও তাঁর স্ত্রী বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।

শাহীন চাকলাদারের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার ও তাঁর স্ত্রী ফারহানা জাহান; মেয়ে সামিয়া জাহান ও মাঈসা জাহান এবং ছেলে জাবীর চাকলাদারের বিদেশযাত্রায়ও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন বুধবার এ নিষেধাজ্ঞা দেন।

দুদকের পক্ষ থেকে আদালতে লিখিতভাবে বলা হয়েছে, যশোর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। এখন তাঁরা বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন বলে দুদক জানতে পেরেছে।

শওকত হাচানুরের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

বরগুনার সাবেক সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। দুদকের পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়েছে, শওকত হাচানুর রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জমি দখল, ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ সন্ধান করছে দুদক। তিনি যেকোনো সময় বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন। তাই তাঁর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দরকার।