মাদকের মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন

কারাগার
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামে দুই সহোদরসহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা পৃথক দুটি মামলায় আজ বুধবার দুই আদালত এ রায় দেন।

দণ্ডিত চারজন হলেন আনোয়ার হোসেন ও জামাল হোসেন এবং শহীদ সোহেল ও তাঁর সহকারী শিমুল শর্মা। তাঁদের মধ্যে প্রথম দুজন সহোদর।

আদালত সূত্র জানায়, নগরের ডবলমুরিং থানায় ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভুঁঞা দুই সহোদরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ প্রথম আলোকে বলেন, আদালত দুই সহোদরকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। আসামিরা জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

২০১৪ সালের ৫ জুন নগরের ডবলমুরিং থানার ঈদগাঁ নজির আহমেদ চৌধুরী রোড থেকে মো. আনোয়ার হোসেন ও  জামাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে ৯০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় করা মামলায় তদন্ত শেষে পুলিশ একই বছরের ২২ জুলাই অভিযোগপত্র দেয়। ২০১৫ সালের ৩০ অক্টোবর দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। পাঁচজন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত এ রায় দেন।

এ দিকে সীতাকুণ্ড থানায় ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় অ্যাম্বুলেন্স চালক শহীদ সোহেল ও তাঁর সহকারী শিমুল শর্মাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দেন অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ সরওয়ার আলম।

চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, আসামি শহীদ সোহেল জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় হাজির ছিলেন শিমুল।

আদালত সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ৩১ আগস্ট  সীতাকুণ্ড ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের ভাটিয়ারী ফিলিং স্টেশনের সামনে অ্যাম্বুলেন্সে তল্লাশি চালিয়ে চালক ও তাঁর সহকারীর কাছ থেকে ২২ হাজার ৩৬০টি ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করে র‍্যাব। এ ঘটনায় করা মামলায় তদন্ত শেষে পুলিশ অভিযোগপত্র দেয়।