মেরিন ইঞ্জিনিয়ার শাহাদত খুন হয়েছিলেন ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে
রাজধানীর ধানমন্ডি লেকপাড়ে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার শাহাদত হোসেন মজুমদারের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাব্বি নামের ওই তরুণ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আজ মঙ্গলবার আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
পুলিশের ধানমন্ডি জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) এহসানুল ফেরদৌস প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রাব্বি (১৮) একটি ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। গতকাল সোমবার কারাঙ্গীরচর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে এডিসি এহসানুল বলেন, শাহাদত হোসেন (৫১) গত ২২ অক্টোবর মধ্যরাতে রবীন্দ্রসরোবর এলাকায় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। ছিনতাইকারীরা পাঁচজন ছিল। তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ছিনতাইকারীরা শাহাদতকে একের পর এক ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
রাব্বি এ ঘটনায় জড়িত আরও চারজনের নাম বলেছেন জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সবাই কামরাঙ্গীরচর এলাকার বাসিন্দা। তাঁরা ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই করেন। মূলত বিভিন্ন ব্যক্তিকে অনুসরণ করে একপর্যায়ে গলার চেইন, ব্যাগ, মুঠোফোন ছিনিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান। রাব্বি যাঁদের নাম বলেছেন, তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এডিসি শাহাদত বলেন, রাব্বি বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই করতে গিয়ে একাধিকবার ধরা পড়েছেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন। তবে বয়স কম হওয়ার কারণে তিনি বারবার ছাড়া পেয়েছেন। তিনি লেখাপড়া করেননি। দীর্ঘদিন ধরে ছিনতাইয়ে জড়িত।
পুলিশের ধানমন্ডি জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আবদুল্লাহ আল মাসুম প্রথম আলোকে বলেন, আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে রাব্বি যাদের নাম বলেছেন, তাঁদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তার দেওয়া তথ্যগুলো যাচাই–বাছাই করা হচ্ছে।
নিহত শাহাদতের বড় ভাই মোতালেব হোসেন প্রথম আলোকে জানান, গত ২২ অক্টোবর রাত সাড়ে আটটার দিকে শাহাদত কলাবাগানের বাসা থেকে বের হয়ে ধানমন্ডির লেকপাড়ে হাঁটাহাঁটি করতে যান। অনেকক্ষণ পরেও বাসায় না ফেরায় তাঁরা তাঁকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কোথাও খোঁজ না পেয়ে তাঁরা ধানমন্ডি থানায় যোগাযোগ করেন। পরে ধানমন্ডি থানা-পুলিশ লেকের পাড় থেকে শাহাদতের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধারের কথা তাঁদের জানায়।