জামালপুরে ধর্মমন্ত্রীর আইফোন চুরি, মালয়েশিয়া থেকে উদ্ধার
জামালপুর থেকে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের আইফোন চুরি হওয়ার এক মাস পর মালয়েশিয়া থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ এটি উদ্ধার করে। গত ২৮ মে ঢাকা ও এর আশপাশে অভিযান চালিয়ে এর সঙ্গে জড়িত অভিযোগে মূল হোতাসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. জাকির হোসেন (৪০), মাসুদ শরীফ (৪১), মো. জিয়াউল মোল্লা ওরফে জিয়া (৪৮), রাজিব খান ওরফে মুন্না (২২), মো. আল আমিন মিয়া (২০), মো. আনোয়ার হোসেন ওরফে সোহেল (২৭), মো. রাসেল (৩৮), মো. খোকন আলী (৩৬) ও মো. বিল্লাল হোসেন (৩৭)। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬৩টি চোরাই মুঠোফোন ও বিভিন্ন কোম্পানির ১৪টি সিম উদ্ধার করে ডিবি।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, চক্রটি ৮০টি দলে ভাগ হয়ে কাজ করে। দলগুলোর নেতৃত্ব দেন জাকির। ঢাকায় কাজ করা চক্রটি পকেটমার ও ছোঁ মেরে মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়। আর ঢাকার বাইরে চক্রের সদস্যরা বড় কোনো সমাবেশ, জানাজা বা জনসমাবেশকে নিশানা করে আইফোন চুরি করেন।
ডিবির এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চুরি বা ছিনতাই করে আনা মুঠোফোনগুলো জাকিরের কাছে জমা হয়। তিনি সেগুলো কুরিয়ারের মাধ্যমে চট্টগ্রামের রিয়াজ উদ্দিন মার্কেটে থাকা চক্রের সদস্যদের কাছে পাঠিয়ে দেন। এর মধ্যে দামি মুঠোফোনগুলো (আইফোন) বিদেশে থাকা চক্রের সদস্যদের কাছে পাঠানো হতো, বিশেষ করে মালয়েশিয়া, ভারত ও দুবাইয়ে।
হারুন অর রশীদ আরও বলেন, ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান গত ৩০ এপ্রিল সকালে জামালপুরের ইসলামপুর পৌরসভার মোশাররফগঞ্জে এক ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেন। সেখানে পাঞ্জাবির পকেট থেকে তাঁর আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্স মডেলের মুঠোফোন চুরি করেন চক্রের সদস্য মুন্না। পরে সেটি যায় রাসেলের কাছে। তিনি সেটি ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন বোরহানের কাছে। এরপর ওই মুঠোফোন কামরুজ্জামান ওরফে হিরু নামের একজনের কাছে দেন বোরহান। হিরু মুঠোফোনটি মালয়েশিয়ায় পাঠিয়ে দেন। বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে মালয়েশিয়া থেকে মুঠোফোনটি ফেরত আনা হয়।