গ্রেপ্তার হননি ইভিএম নিয়ে পালানো যুবলীগ নেতা, পলাতক বলছে পুলিশ
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ভোটকেন্দ্র থেকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যালট ইউনিট নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় করা মামলার আসামি নির্মলেন্দু দে ওরফে সুমন এখনো গ্রেপ্তার হননি। পুলিশ বলছে, তিনি পলাতক। এ ঘটনায় এখনো তদন্ত চলছে।
গত বৃহস্পতিবার বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন চলাকালে যুবলীগ নেতা নির্মলেন্দু দে ওরফে সুমন জ্যেষ্ঠপুরা রমণীমোহন উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ইভিএম ব্যালট ইউনিট নিয়ে পালিয়ে যান। কেন্দ্র থেকে ইউনিটটি নিয়ে তিনি রাস্তায় বসানো নৌকার ক্যাম্পে চলে যান।
এ ঘটনার সময় কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রতন চৌধুরী। ওই যুবলীগ নেতার কাছ থেকে ইউনিটটি নিজের হেফাজতে নিয়ে ফেলেন তিনি। পরে তিনি ইভিএম ব্যালট ইউনিটটি কেন্দ্রে ফেরত দিয়ে আসেন। ঘটনার দিন পুলিশ রতন চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছিল। রাতে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সজল দাশ বাদী হয়ে বোয়ালখালী থানায় মামলা করেন। মামলায় একমাত্র আসামি করা হয় নির্মলেন্দু দেকে। রতন চৌধুরীকে এ মামলায় ১ নম্বর সাক্ষী করা হয়েছে। এ ছাড়া সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হারুনুর রশীদ ভূঁইয়াকেও মামলাটির সাক্ষী করা হয়।
তবে ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন নির্মলেন্দু দে। দুই দিনেও তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। জানতে চাইলে বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক প্রথম আলোকে আজ বলেন, আসামি পলাতক রয়েছে। ঘটনার তদন্ত অব্যাহত আছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচন চলাকালে রমণীমোহন উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ইভিএম ব্যালট ইউনিট নিয়ে পালিয়ে যান যুবলীগ নেতা নির্মলেন্দু দে। পরে রতন চৌধুরী সেটি সংগ্রহ করে কেন্দ্রে ফেরত দিয়ে যান। এ সময় সাংবাদিকেরা ছবি তোলেন।
বোয়ালখালী উপজেলার আগের চেয়ারম্যান নুরুল আলমের মৃত্যুতে পদটি শূন্য হয়। পরে বৃহস্পতিবার সেখানে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এখানে মোট কেন্দ্র ছিল ৮৬টি। রতন চৌধুরী ও নির্মলেন্দু দে রমণীমোহন উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রেজাউল করিম ওরফে রাজা মিয়ার পক্ষে কাজ করছিলেন। নির্বাচনে রেজাউল করিম জয়ী হন।