অস্ত্র মামলায় রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৪-এর বিচারক মুর্শিদ আহমেদ আজ মঙ্গলবার এই রায় দেন।
ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী আবুল কাশেম প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আবুল কাশেম বলেন, পলাতক আসামি আরাভ খানের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিউলের বিরুদ্ধে এই মামলায় ১০ সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয় । রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) এ কে এম সালাহউদ্দিন।
পাঁচ বছর আগে ঢাকায় এক পুলিশ পরিদর্শককে হত্যার আসামি রবিউল ইসলাম নাম পাল্টে আরাভ খান পরিচয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে আছেন। সম্প্রতি সেখানে একটি স্বর্ণালংকারের দোকান উদ্বোধন করে আলোচনায় আসেন তিনি।
আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হন রবিউল ইসলাম। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে রমনা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করে। আরাভ খানের বিরুদ্ধে ওই বছরের ১০ মে অভিযোগ গঠন করা হয়। একই বছরের ২৪ জুন উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন রবিউল। তবে আদালতে হাজির না হওয়ায় ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি আদালত তাঁর জামিন বাতিল করেন।
রবিউলের বিরুদ্ধে ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যার মামলাটি বিচারাধীন। ওই মামলায় দুই সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। এ মামলায় নিজের পরিচয়ে আরেকজনকে আদালতে হাজির করিয়েছিলেন রবিউল।
২০১৮ সালের ৮ জুলাই রাজধানীর বনানীর একটি বাসায় খুন হন পরিদর্শক মামুন ইমরান খান । পরদিন গাজীপুরের জঙ্গল থেকে তাঁর আধপোড়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামুনের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম খান বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় খুনের মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে পলাতক রবিউল ওরফে আরাভসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ অভিযোগপত্র দেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ঢাকায় পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, মামুন ইমরান খান খুনের পর একপর্যায়ে রবিউল পালিয়ে যান। পরে আরাভ খান নামে ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে তিনি দুবাইয়ে অবস্থান করেন। চলতি বছরের ১৫ মার্চ দুবাইয়ের নিউ গোল্ড সুকে জমকালো অনুষ্ঠানে আরাভ জুয়েলার্স নামে একটি সোনার দোকানের উদ্বোধন করেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ক্রীড়া ও বিনোদন জগতের অনেক তারকাকে হাজির করে আলোচনায় আসেন।