দুদকের মামলায় সেলিম প্রধানের ৮ বছরের কারাদণ্ড

রায় ঘোষণার পর সেলিম প্রধানকে আদালত থেকে হাজতখানায় নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ
ছবি:আসাদুজ্জামান

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের মামলায় অনলাইন ক্যাসিনোর মূল হোতা সেলিম প্রধানকে ৮ বছর কারাদণ্ড ও ১১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।

ঢাকার বিশেষ আদালত-৮–এর বদরুল আলম ভূঁঞা আজ রোববার এ রায় দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আসামির আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম।

রায় ঘোষণার আগে কারাগার থেকে সেলিম প্রধানকে আদালতে হাজির করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন মোশাররফ হোসেন কাজল।

২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সেলিম প্রধানকে আটকের পর তাঁর রাজধানীর গুলশানের বাসা, বনানীর বাসা ও অফিসে অভিযান চালায় র‌্যাব। ওই অভিযানে ২৯ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়। পরে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে সেলিমের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর মামলা করে দুদক। তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।

অভিযোগপত্রে সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে ৫৭ কোটি ৭৯ লাখ ২৮৮ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ২১ কোটি ৯৯ লাখ ৫১ হাজার ১৪৫ টাকা অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

মামলায় বলা হয়, অবৈধ উপায়ে ৪৭ লাখ ৪৬ হাজার টাকার স্থাবর ও ৫৭ কোটি ৩১ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জন ও ভোগদখল করেছেন সেলিম প্রধান, যা দুদক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার জানান, অবৈধভাবে উপার্জিত ২১ কোটি ৯৯ লাখ ৫১ হাজার টাকা থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেছেন সেলিম, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।