সংসদ সদস্য আনোয়ারুল হত্যায় গ্রেপ্তার জিহাদ ১২ দিনের সিআইডি হেফাজতে
বাংলাদেশের ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম (আনার) হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার জিহাদ হাওলাদারের ১২ দিনের সিআইডি হেফাজতের আদেশ দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বারাসাতের আদালত। আজ শুক্রবার বারাসত আদালতের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শুভঙ্কর বিশ্বাস এই আদেশ দেন। আজ দুপুরে মুম্বাই থেকে গ্রেপ্তার জিহাদ হাওলাদারকে আদালতে তোলেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কর্মকর্তারা। সিআইডিই জিহাদ হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে। জিহাদ পেশায় কসাই।
এর আগে সিআইডির পক্ষ থেকে জিহাদ হাওলাদারকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানানো হয়। সিআইডির পক্ষ থেকে বলা হয়, গ্রেপ্তার জিহাদের বয়স ২৪ বছর। তিনি মুম্বাইয়ের অবৈধ অভিবাসী। তাঁর বাবার নাম জয়নাল হাওলাদার। বাড়ি খুলনার দীঘলিয়ায়।
এদিকে খুলনায় খবর নিয়ে জানা যায়, ভারতে গ্রেপ্তার জিহাদ হাওলাদার সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম হত্যার ঘটনায় ভাড়া করা খুনি কুখ্যাত সন্ত্রাসী শিমুল ভূঁইয়ার সহযোগী হিসেবে পরিচিত।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের পুলিশ এ হত্যার ঘটনায় সিয়াম নামের একজনকে গ্রেপ্তারের কথা বলেছিল। তবে সিয়াম এখন কাঠমান্ডুতে বলে জানা গেছে। আসলে জিহাদ হাওলাদারকেই তাঁরা সিয়াম বলে মনে করেছিল।
সিআইডির বার্তায় বলা হয়েছে, হত্যার ঘটনার দুই মাস আগে কসাই জিহাদ হাওলাদারকে কলকাতায় নিয়ে আসেন মো. আক্তারুজ্জামান। এই আক্তারুজ্জামানকেই সংসদ সদস্য আজীম হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কলকাতার নিউ টাউনের যে ফ্ল্যাটে সংসদ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে, সেটি এই আক্তারুজ্জামানের ভাড়া করা। তিনি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. সহিদুজ্জামানের ছোট ভাই। কলকাতা সিআইডি বলছে, গ্রেপ্তার জিহাদ স্বীকার করেছেন, আক্তারুজ্জামানের নির্দেশেই তিনি এবং চার বাংলাদেশি মিলে আনোয়ারুল আজীমকে হত্যা করেন।
আজ বেলা একটার দিকে জিহাদকে বারাসাতের আদালতে নিয়ে আসেন সিআইডির কর্মকর্তারা। আদালতে তোলার পর তাঁর হেফাজতের আবেদন করা হয়। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ছিলেন শান্তময় বসু। হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক শুভঙ্কর বিশ্বাস।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম ১২ মে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান। আট দিন নিখোঁজ থাকার পর গত বুধবার তাঁর খুন হওয়ার বিষয়টি পুলিশ নিশ্চিত করে।