ঢাকার রাস্তায় এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার নেই
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় প্রাইভেট কার আরোহী এক শীর্ষ সন্ত্রাসীকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালানোর ঘটনার দুই দিন পরও কাউকে গ্রেপ্তারের কথা জানাতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ পথচারী ভুবন চন্দ্র শীলের (৫২) স্ত্রী রত্না রানী শীল মঙ্গলবার রাতে হাতিরঝিল থানায় অজ্ঞাতনামা সাত-আটজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের সিটি পেট্রলপাম্প ও বিজি প্রেসের মাঝামাঝি রাস্তায় গত সোমবার রাত ১০টার দিকে চারটি মোটরসাইকেলে করে সাত-আটজন এসে প্রাইভেট কার আরোহী শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাঈদ ওরফে মামুনকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন। মামুন গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে পালানোর সময় তাঁকে কুপিয়ে আহত করেছেন তাঁরা। এ সময় এক মোটরসাইকেল আরোহী ভুবন চন্দ্র শীল গুলিবিদ্ধ হন। আহত হয়েছেন আরিফুল হক নামের এক পথচারীও।
পুলিশের তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের সহকারী কমিশনার (এসি) আরিফ রাইয়ান বুধবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, গুলি ও কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
পুলিশের ধারণা, কারাগারে থাকা আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের নির্দেশে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন ও মামুন একসময় ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও তেজগাঁও এলাকার আতঙ্ক ছিলেন। তাঁদের গড়ে তোলা বাহিনীর নাম ছিল ‘ইমন-মামুন’ বাহিনী। তাঁরা দুজনই চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার আসামি। ইমন কারাগারে থাকলেও সম্প্রতি মামুন জামিনে বের হন। কারাগারে থাকা অবস্থাতেই দুজনের বিরোধ দেখা দেয়। এই হামলার পেছনে ইমনের হাত রয়েছে বলে পুলিশের ধারণা।
ইমন ও আহত মামুন চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা ছাড়াও সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ভাই সাঈদ আহমেদ ওরফে টিপু হত্যা মামলার আসামি। প্রায় ২৪ বছর কারাগারে থেকে সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হন মামুন। তিনি হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশকে বলেন, তাঁর ধারণা, সানজিদুল এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন।