শাহ আমানত বিমানবন্দরে সোনা উদ্ধার নিয়ে ‘লুকোচুরি’
চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিত্যক্ত অবস্থায় ছয়টি সোনার বার উদ্ধার করেছেন কর্মকর্তারা। গতকাল সোমবার সকালে এই সোনার বার উদ্ধারের পর তা নিয়ে লুকোচুরি করার অভিযোগ উঠেছে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
বিমানবন্দরে নিয়োজিত কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তার জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠার পর সোনা উদ্ধার নিয়ে লুকোচুরির ঘটনা ঘটে।
বিমানবন্দরের একটি সূত্র জানায়, গতকাল সকালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে আসা এক যাত্রী বিমানবন্দরের প্রসাধনকক্ষে যান। এ সময় ওই যাত্রী সেখানে দায়িত্বরত কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের রাজস্ব কর্মকর্তা কে এম এম সালেমের কাছে ছয়টি সোনার বার হস্তান্তর করেন। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হলে সেখানে দায়িত্বরত দুটি সংস্থার কর্মকর্তারা যাত্রীকে আটক করে সোনার বার জব্দ করেন।
সাধারণত সোনা উদ্ধারের কোনো ঘটনা হলে তা কাস্টমস গোয়েন্দা ও সাংবাদিকদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জানিয়ে দেওয়া হয়। সকাল সাড়ে আটটার এই ঘটনা নিয়ে বেলা দুইটায় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে রাজস্ব কর্মকর্তা সালেম খুদে বার্তায় জানান, শারজাহ থেকে আসা এক যাত্রীর কাছে কিছু সোনার বার ওয়াশরুমে হাতবদল হবে বলে শুল্ক গোয়েন্দার কাছে খবর আসে। পরে পরিত্যক্ত অবস্থায় ডাস্টবিন থেকে শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তা উদ্ধার করেন। এরপর বিষয়টি নিয়ে আর কোনো হালনাগাদ তথ্য দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে সালেমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। বিষয়টি নিয়ে জানতে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বশীর আহমেদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনিও ফোন ধরেননি।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বিষয়টি গুরুতর হওয়ায় কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।