সংসদ সদস্য আনোয়ারুল হত্যায় নেপাল থেকে আরেক আসামি গ্রেপ্তার: ডিএমপি
সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলার আরেক আসামিকে নেপাল থেকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, কলকাতা সিআইডি হত্যা মামলাটি তদন্ত করেছে। তাদের কাছে দুজন আসামি আছেন। একজনকে তারা নেপাল থেকে নিয়েছে। আরেকজনকে আগেই গ্রেপ্তার করেছে।
নেপাল থেকে সিআইডি কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে তাঁর নাম জানাননি ডিএমপি কমিশনার। তবে দেশের তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, নেপাল থেকে গ্রেপ্তার হওয়া আসামির নাম সিয়াম।
‘সংসদ সদস্য আনোয়ারুল হত্যার বিচার কোন দেশে হবে?’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে যেখানে ঘটনা ঘটে, সেখানেই তদন্ত হয় বলে জানান ডিএমপি কমিশনার। কিন্তু বাংলাদেশের আইনেও বিদেশে কেউ অপরাধ করলে অপরাধীকে দেশে এনে বিচারের কথা বলা আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমরাও তদন্ত করছি, তারাও (কোকলকাতা) তদন্ত করছে। একপর্যায়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে যেকোনো জায়গায় বিচারটি হতে পারে।’
সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত দুই দেশ মিলিয়ে মোট পাঁচজন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। এর মধ্যে তিনজন বাংলাদেশে। বাকি দুজন কলকাতায়। বাংলাদেশে গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন, আমানুল্লা সাঈদ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভূঁইয়া, তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমান। ভারতে গ্রেপ্তার হয়েছেন জিহাদ হাওলাদার। নেপালে আটক ছিলেন সিয়াম হোসেন।
পুলিশ বলছে, আনোয়ারুল আজীম কলকাতায় যান গত ১২ মে। সেখানে বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাসায় ওঠেন। পরদিন তাঁকে প্রলুব্ধ করে নিউ টাউনের ওই ফ্ল্যাটে নেওয়া হয়। তখন ওই ফ্ল্যাটে উপস্থিত ছিলেন শিলাস্তি, শিমুল, তানভীর, তাঁদের সহযোগী জিহাদ হাওলাদার, সিয়াম হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, ফয়সাল আলী প্রমুখ। খুনের আগেই ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ আক্তারুজ্জামান ঢাকায় চলে আসেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই ফ্ল্যাটেই সংসদ সদস্যকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করা হয়। পরে লাশ টুকরা টুকরা করে গুম করা হয়। তানভীর নিজে বালিশচাপা দেন বলে জবানবন্দিতে বলেন।
আনোয়ারুল আজীম হত্যাকাণ্ডে জিহাদ হাওলাদার নামের আরেক আসামি কলকাতায় গ্রেপ্তার আছেন। সিয়াম নামের আরেক আসামি নেপালে আটক ছিলেন। সিয়ামকে ফিরিয়ে আনতে গত শনিবার ঢাকা থেকে পুলিশের একটি তদন্ত দল নেপালে যায়। সোমবার তারা দেশে ফিরলেও সিয়ামকে ফেরানোর বিষয়ে কোনো অগ্রগতির কথা জানাতে পারেনি।