ঋণের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নজিবুল বশরের দুই ছেলের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত

সৈয়দ তৈয়বুল বশর ও সৈয়দ আফতাবুল বশর
ছবি: সংগৃহীত

প্রায় সাড়ে ৩৯ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর দুই ছেলেসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।

গতকাল বুধবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও আজ বৃহস্পতিবার দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

দুদকের অনুসন্ধানসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে তাঁরা ওই টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেন। এর সঙ্গে প্রাইম ফাইন্যান্সের কিছু কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন।

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর দুই ছেলে সৈয়দ তৈয়বুল বশর ও সৈয়দ আফতাবুল বশর ছাড়া অন্য অভিযুক্তদের মধ্যে প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান কে এম খালেদ ও তাঁর ছেলে কে এম রাকিব হোসেন, তাঁদের আত্মীয় খন্দকার মো. মোস্তাহিদও আছেন। এ ছাড়া প্রাইম ফাইন্যান্সের বর্তমান পরিচালক মুসলিমা শিরিন, জেড এম কায়সার, মো. অলিউজ্জামান, এম শাহাদত হোসেন কিরন, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট গুলশান আরা হাফিজ ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট তাজরিয়ান হক, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদ খান, সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আহসান কবির খান, সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. রেজাউল হকও রয়েছেন।

দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়, সৈয়দ তৈয়বুল বশর ২০১১ সালের ২০ ডিসেম্বরে ২০ কোটি টাকা এবং সৈয়দ আফতাবুল বশর ১৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা শর্ত সাপেক্ষে পাঁচ বছর মেয়াদি টার্ম ঋণের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, আবেদনের দুই দিন আগেই প্রাইম ফাইন্যান্সের বোর্ড সভায় ঋণ দুটি অনুমোদিত হয়। এ ছাড়া ঋণ মঞ্জুরে নানা অনিয়মও হয়েছে। নথিপত্র পর্যালোচনা করে দুদক আরও দেখতে পায়, ব্যক্তিগত প্রয়োজন মেটানোর জন্য তাঁরা এই ঋণ নিয়েছেন। তাঁরা ঋণের শর্ত ভঙ্গ করে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন।

দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক জানান, দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১–এ শিগগির মামলা করবেন।

মামলায় ঋণের দুই গ্রাহক সৈয়দ তৈয়বুল বশর ও সৈয়দ আফতাবুল বশর প্রধান আসামি হচ্ছেন বলে জানা গেছে।