ছাত্র-জনতার আন্দোলনে কিশোর হত্যা মামলায় পুলিশ কর্মকর্তা মশিউর রিমান্ডে
পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (এডিশনাল ডিআইজি) মশিউর রহমানের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ধানমন্ডি থানায় করা কিশোর আবদুল মোতালিব (১৪) হত্যা মামলায় তাঁকে রিমান্ড দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিল সুমু চৌধুরী আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) মাহফুজুর রহমান প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা ব্যবসায়ী আবদুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার মশিউর রহমানকে সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে তাঁকে ধানমন্ডি থানায় করা কিশোর আবদুল মোতালিব হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়।
একই সঙ্গে তাঁকে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করা হয়। অন্যদিকে আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করে জামিনের আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত পুলিশ কর্মকর্তা মশিউর রহমানকে সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত।
মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, গত ৪ আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় কিশোর আবদুল মোতালিবকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের পক্ষ থেকে খুদে বার্তা দিয়ে জানানো হয় হয়, মশিউর রহমানকে রাজধানীতে থেকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। পরদিন তাঁকে নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা ব্যবসায়ী আবদুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
মশিউর রহমান অনেক দিন ডিএমপির ডিবিতে ছিলেন। সর্বশেষ তিনি ডিবির লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার ছিলেন। বিগত সরকারের শেষ দিকে তিনি অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতি পান।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর মশিউর রহমানকে ডিএমপির ডিবি থেকে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়। ডিএমপি সূত্র জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্র-জনতার আন্দোলনে প্রাণহানির ঘটনায় মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে।