ইশরাকের পর রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

রুহুল কবির রিজভী ও ইশরাক হোসেন
ফাইল ছবি

ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। নাশকতার পুরোনো মামলায় বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে দুই আদালত আজ সোমবার এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। মতিঝিল থানার নাশকতার মামলায় ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে আর পল্টন থানার নাশকতার মামলায় রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

১০ বছর আগে পল্টন থানার পুরোনো নাশকতার মামলায় রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) তোফাজ্জল হোসেন। প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী আতিকুর রহমান।

রিজভীর আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ২০১২ সালে রমনা থানায় দায়ের করা একটি মামলায় আদালতে হাজির না থাকায় রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

২০১২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মিন্টো রোডে সিটি করপোরেশনে ময়লার গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৭ সালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। আইনজীবী তাহেরুল বলেন, এই মামলায় বিএনপি মহাসচিব, রুহুল কবির রিজভী জামিনে ছিলেন। তবে ১ ডিসেম্বর আদালতে হাজির না থাকায় আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

এর আগে মতিঝিল থানার নাশকতার মামলায় সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম।

মামলার এজাহারের বক্তব্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের বিপরীত পাশে অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পুড়িয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ইশরাকসহ ৪২ জনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় নাশকতার মামলা করে পুলিশ। মামলাটির তদন্ত চলছে।

আরও পড়ুন