বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবর্ষণ–হামলা: যুব মহিলা লীগ এবং ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
রাজধানীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মিরপুরে গুলিতে নিহতের ঘটনায় করা একটি মামলায় যুব মহিলা লীগের এক নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন। অন্যদিকে কোতোয়ালি থানাধীন এলাকায় ওই আন্দোলনে হামলার ঘটনায় করা মামলায় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের এক নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন রূপনগর থানা যুব মহিলা লীগের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক জুলিয়া আক্তার ও কোতোয়ালি থানার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি তপু নন্দী।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার রাতে রূপনগর আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে জুলিয়াকে এবং মধ্যরাতে তাঁতীবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তপু নন্দীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিএমপি জানিয়েছে, গত ২০ জুলাই বিকেলে প্রশিকা মোড়ে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমর্থনে মিছিল বের করে। তাঁদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করেন আওয়ামী লীগের সহযোগী বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা। এ সময় বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন শামীম আহমেদ। তাঁকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় তাঁর চাচাতো ভাই সম্রাট হাওলাদার গত ১৫ সেপ্টেম্বর রূপনগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। জুলিয়া ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
ছাত্রলীগ নেতা তপু নন্দী সম্পর্কে ডিএমপির বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ৫ আগস্ট কোতোয়ালি থানাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলা পার্ক এলাকায় সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে ছাত্র-জনতার সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন সুজন। এ সময় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা হামলা ও গুলিবর্ষণ করেন। এ ঘটনায় সুজনসহ আরও অনেকে আহত হন। পরে এ ঘটনায় ৩ নভেম্বর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন সুজন। তপু নন্দী ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।