রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের গতকাল বুধবার চলা সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় গতকাল আটক বিএনপির পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অজ্ঞাতানামা আসামি করা হয়েছে কয়েক’শ জনকে।
পল্টন থানায় গতকাল আটক ৪৫০ জনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মতিঝিল থানায় ২৮ জন ও শাজাহানপুর থানায় ৫২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
পল্টন থানায় পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে। মতিঝিল ও শাহজাহানপুর থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।
মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান মামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করেছে।
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
যে হাত মারতে আসবে, সে হাত ভেঙে দিতে হবে: শেখ হাসিনা
নয়াপল্টন ‘ক্রাইম জোন’ চিহ্নিত, সাংবাদিকদেরও যেতে দিচ্ছে না পুলিশ
‘জামায়াতমুক্ত’ করার রাজনৈতিক প্রকল্প যে পরিণতি পেল
‘ক্ষমতায় টিকে থাকতে সব সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ন করছে সরকার’
১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশের কর্মসূচি আছে। এই গণসমাবেশ কোথায় হবে, তা নিয়ে বিতর্ক-আলোচনার মধ্যেই গতকাল বিকেলে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে নয়াপল্টন রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে মকবুল আহমেদ নামের একজন নিহত হন। আহত হন বিএনপির অর্ধশত নেতা-কর্মী।
সংঘর্ষের পর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে দলের কেন্দ্রীয় নেতা আমানউল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী, শিমুল বিশ্বাস, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবদুল কাদের ভূঁইয়াসহ কয়েক শ নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ।