নিজেরাই সমস্যা করেন, পরে ঠিক করার কথা বলে নেন ইমো অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ

ইন্টারনেটভিত্তিক যোগাযোগমাধ্যম ইমোর অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণে নিয়ে অর্থ আত্মসাতে জড়িত অভিযোগে এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ
ছবি: সংগৃহীত

কৌশলে ইন্টারনেটভিত্তিক যোগাযোগমাধ্যম ইমোর অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণে নিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করা একটি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে মিরপুর থানা-পুলিশ। গতকাল শনিবার রাজশাহীর বাঘা এবং নাটোরের লালপুর থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ফজলে রাব্বি (২০), রাজন আলী (২২) ও রঞ্জু আহম্মেদ (২২)। তাঁদের প্রতারণার কৌশল সম্পর্কে ওসি মহসীন বলেন, ইমোতে বিভিন্ন নামে এই চক্রের সদস্যদের কয়েকটি গ্রুপ আছে। এসব গ্রুপে যাঁরা যুক্ত হন, তাঁদের বলা হয় ইমো–সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান দেন তাঁরা। যাঁরা গ্রুপে যুক্ত হন, তাঁদেরই লক্ষ্যবস্তু বানান চক্রের সদস্যরা। এরপর ব্যক্তির ইমো আইডিতে বিভিন্ন আইডি থেকে একের পর এক স্টিকার মেসেজ পাঠানো হয়। এতে একপর্যায়ে আইডি অকার্যকর হয়ে পড়ে।

ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, তখন আইডি ঠিক করার জন্য ওই ব্যক্তি গ্রুপে সহযোগিতা চান। রাজন ওই ব্যক্তির সঙ্গে এই ‘সমস্যা’ সমাধানের কথা বলেন। রাজন ওই ব্যক্তির আইডিতে প্রবেশের অনুমতি চান। এ ক্ষেত্রে গ্রাহকের কাছে একটি ওটিপি যায়, ওই ওটিপি জেনে রাজন ইমো আইডির নিয়ন্ত্রণ নেন। তখন রাজন ওই ব্যক্তির ইমোর সব বার্তা পড়েন এবং তাঁর আত্মীয়স্বজন সম্পর্কে তথ্য নেন। এরপর তাঁর আত্মীয়ের কাছে ‘আমি বিপদে পড়েছি, টাকা পাঠান’, ‘মা অসুস্থ, টাকা পাঠান’—এমন বার্তা পাঠিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেন।

মিরপুর থানার ওসির ভাষ্য, গ্রেপ্তার রঞ্জু আহম্মেদ ইমো প্রতারণার পাশাপাশি মুঠোফোনে আর্থিক লেনদেনের একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সেজে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ নিতেন। আর গ্রেপ্তার ফজলে রাব্বি একজনের নামে নিবন্ধন করা মুঠোফোনের সিম অন্যের কাছে বিক্রি করেন।