খিলগাঁওয়ে এলোপাতাড়ি পিটুনিতে গুরুতর আহত যুবকের মৃত্যু
রাজধানীর খিলগাঁও থানার মেরাদিয়া নয়াপাড়া এলাকায় গত শুক্রবার ইমরান নামের এক যুবককে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন কয়েকজন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার তাঁর মৃত্যু হয়।
ইমরানের বড় ভাই মো. হানিফ বাদী হয়ে খিলগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এতে শহিদ, সবুজ, ইব্রাহিমসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করা হয়। তবে পুলিশ এ হত্যার ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
হানিফ বলেন, তাঁর ভাইয়ের কারও সঙ্গে শত্রুতা ছিল না। শুক্রবার তিনি এলাকার লোকজনের কাছ থেকে শুনেছেন, তাঁর ভাই ওই কয়েকজনকে ইয়াবা সেবন ও জুয়া খেলার অভিযোগে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁরা ছাড়া পেয়ে শুক্রবার সেই ক্ষোভেই ইমরানকে পেটান।
খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক আবু তালেব বলেন, ৫ মে সকাল আটটার দিকে নয়াপাড়া কবিরের রিকশার গ্যারেজে পূর্বশত্রুতার জেরে স্থানীয় শহিদসহ আসামিরা মিলে টাইলসমিস্ত্রি ইমরানকে (২৮) লোহার পাইপ দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। সোমবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ময়নাতদন্তের শেষে বিকেলে মরদেহটি স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
পারিবারিক সূত্র জানায়, ইমরান কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার কালীবাজার কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা। ঢাকায় মেরাদিয়া নয়াপাড়ায় পরিবার নিয়ে থাকতেন। তাঁর দেড় বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।