নেত্রকোনার আলবদর কমান্ডার খলিলুরের মৃত্যুদণ্ড
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে নেত্রকোনার মোহাম্মদ খলিলুর রহমানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আজ মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এই রায় দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম।
ট্রাইব্যুনালে মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর রানা দাশ গুপ্ত ও রেজিয়া সুলতানা। পলাতক খলিলুরের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম।
রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, এই মামলায় স্থানীয় আলবদর কমান্ডার খলিলুর রহমানসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। খলিলুর ছাড়া অপর চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছিল। ট্রাইব্যুনাল যথাযথ তদন্তের স্বার্থে ২০১৬ সালের ১৩ এপ্রিল তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তাঁরা হলেন মো. আজিজুর রহমান, রমজান আলী, অশোক আলী ও মো. শাহনেওয়াজ। এই চারজনের মধ্যে রমজান আলী ২০১৬ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (প্রিজন সেলে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মামলায় ২০১৮ সালের ১২ মার্চ খলিলুরসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। বিচার চলাকালে অপর তিন আসামি মারা যান।
রায়ের পর প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, খলিলুরের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, হত্যা ও গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়। পাঁচটি অভিযোগই ট্রাইব্যুনালে প্রমাণিত হয়েছে। চারটি অভিযোগে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এর মধ্যে রাজনৈতিক গ্রুপকে গণহত্যার দায়ের বিষয়টি রয়েছে, যা প্রথম। অপর একটি অভিযোগে তাঁকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।