ক্রিকেট নিয়ে অনলাইনে জুয়া, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ গ্রেপ্তার ৪: র্যাব
ক্রিকেট বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে অনলাইনে জুয়ার টাকা লেনদেন করতেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, সঙ্গে ছিলেন আরও তিনজন। জুয়ার টাকা হুন্ডির মাধ্যমে ভারতে পাচার করা হতো।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানানো হয়েছে। চারজনের চক্রটি মুঠোফোন ব্যাংকিং কার্যক্রমে সম্পৃক্ত এক ব্যবসায়ীর মাধ্যমে জুয়ার টাকা লেনদেন করতেন বলে জানিয়েছে র্যাব।
গতকাল সোমবার গাজীপুরের শ্রীপুর ও ঢাকার মালিবাগ থেকে গ্রেপ্তার চারজন হলেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী নিশাত মুন্না (২০), তাঁর তিন সহযোগী কামরুল ইসলাম শুভ (২৭), মো. সুমন (৩৫) ও নাজমুল হোসেন বাবু (৩১)।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, এই চক্রের মূল হোতা নিশাত মুন্না। তিনি বিদেশ থেকে পরিচালিত বিভিন্ন অনলাইন জুয়ার সাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশে কার্যক্রম চালাতেন। তাঁর একটি ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক আইডি রয়েছে। দেশের বাইরে থাকা জুয়াড়িরা তাঁর অনলাইন জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞাপন প্রচারের পরামর্শ দেন। নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার বিনিময়ে দেড় বছর ধরে সেখানে বিভিন্ন ভিডিও তৈরি করে জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করতেন তিনি। একপর্যায়ে তিনি নিজেও অনলাইন জুয়ার কার্যক্রম শুরু করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, নিশাত মুন্না অনলাইনে বিভিন্ন জুয়ার সাইটে অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার জন্য তাঁর সহযোগী কামরুলের কাছে পাঠাতেন। কামরুল একটি মোবাইল কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি ছিলেন। বেশি লাভের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে তিনি অনলাইন জুয়ার সাইটে অ্যাকাউন্ট খুলে দিতেন। একটি অ্যাকাউন্ট খোলার বিনিময়ে তিনি ৩০০ টাকা নিতেন।
গ্রেপ্তার সুমন সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, তিনি রাজধানীর মালিবাগে মুঠোফোনে ব্যাংকিং কার্যক্রমের ব্যবসা করেন। ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালানোর সূত্র ধরে কামরুলের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়।
কামরুলের সঙ্গে মিলে তিনি নামে–বেনামে বিভিন্ন সিম নিতেন। মুঠোফোন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অনলাইনে জুয়ার অর্থ লেনদেন করতেন। এই টাকা নিশাত এবং কামরুল হুন্ডির মাধ্যমে ভারতে জুয়া খেলার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তির কাছে পাঠাতেন।
গ্রেপ্তার নাজমুলও মুঠোফোনে ব্যাংকিং কার্যক্রমের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। র্যাব বলছে, নাজমুলের বাড়ি নোয়াখালীতে। সেখানে বসেই এই চক্রের হয়ে তিনি জুয়ার টাকা নিতেন।