সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম হত্যা: রিমান্ডে মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল

কলকাতায় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার মো. মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে ফকির ও ফয়সাল আলী ওরফে সাজীকে বুধবার হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আনে পুলিশছবি: ভিডিও থেকে সংগৃহীত

কলকাতায় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার মো. মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে ফকির ও ফয়সাল আলী ওরফে সাজীকে ছয় দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতাউল্লাহ আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।

এর আগে এই দুজনকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত তাঁদের প্রত্যেকের ছয় দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ডিবির ভাষ্য, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম খুনের ঘটনায় জড়িত হিসেবে এখন পর্যন্ত যাঁদের চিহ্নিত করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম মো. মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে ফকির ও ফয়সাল আলী ওরফে সাজী। এই দুজন খুনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা চরমপন্থী নেতা শিমুল ভূঁইয়ার ঘনিষ্ঠ সহযোগী। শিমুল ধরা পড়লেও ওই দুজন পলাতক ছিলেন। গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁরা ধর্মীয় পরিচয় গোপন করে পাহাড়ের পাতাল কালীমন্দিরে ২৩ দিন আত্মগোপনে ছিলেন। মন্দিরের লোকজনের কাছে মোস্তাফিজ নিজের পরিচয় দেন শিমুল রায় নামে। ফয়সালের পরিচয় ছিল পলাশ রায়।

ডিবি বলছে, এই দুজন সংসদ সদস্যকে খুনে সরাসরি অংশ নেন। খুনের ১১ দিন আগে তাঁরা বাংলাদেশ থেকে ভারতের কলকাতায় গিয়ে সেখানকার নিউমার্কেট এলাকার ‘হোটেল প্লাজা’য় ওঠেন। খুনের ছয় দিন পর তাঁরা ঢাকায় ফিরে আত্মগোপনে চলে যান।

সংসদ সদস্য খুনে মোস্তাফিজুর ও ফয়সালের ভূমিকা নিয়ে ডিবির তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আনোয়ারুল আজীমকে অচেতন করতে চেতনানাশক ব্যবহার করেছিলেন ফয়সাল। অন্যদিকে খুনের আগে আনোয়ারুলকে চেয়ারে বেঁধে ফেলার কাজটি যাঁরা করেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন মোস্তাফিজুরও।

আরও পড়ুন