মিরসরাইয়ে প্রতিপক্ষের হাতে ‘ছাত্রলীগ কর্মী’ খুন
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ‘ছাত্রলীগের এক কর্মীকে’ কুপিয়ে পা বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে দশটার দিকে উপজেলার মিঠানলা ইউনিয়নের রাজাপুর নতুন রাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তরুণের নাম জিয়াউল হাসান (২০)। তিনি মিঠানলা ইউনিয়নের হাদিমুছা এলাকার মো. আলমগীর হোসেনের ছেলে।
ভিসা জোগাড় করে ওকে বিদেশ পাঠিয়ে দিতে চেয়েছিলাম। সেই সময়টা আর পেলাম না। আমার ছেলেটাকে ওরা শেষ করে দিল।মো. আলমগীর হোসেন, নিহত জিয়াউল হাসানের বাবা
মিরসরাই থানা-পুলিশ ও নিহতের বাবার সূত্রে জানা গেছে, জিয়াউল হাসান অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে আর বিদ্যালয়ে যাননি। তবে কোনো পদে না থাকলেও তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি মাটি, ইট ও বালু সরবরাহের কাজ করতেন।
স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সময় স্থানীয় দারোগারহাট বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন জিয়াউল। বাড়ির পাশের নতুন রাস্তা এলাকায় এলে স্থানীয় অন্য ছাত্রলীগ কর্মীদের সঙ্গে এলাকার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁকে কুপিয়ে ও বুকে ছুরিকাঘাত করে ফেলে যায়। পরে স্থানীয় ব্যক্তিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত জিয়াউল হাসানের বাবা মো. আলমগীর প্রথম আলোকে আরও বলেন, ‘ভিসা জোগাড় করে ওকে বিদেশ পাঠিয়ে দিতে চেয়েছিলাম। সেই সময়টা আর পেলাম না। আমার ছেলেটাকে ওরা শেষ করে দিল।’ এ সময় তিনি স্থানীয় চার যুবকের নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘ ওরা আমার ছেলের খুনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।’
মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ফাহিম জালাল বলেন, বুধবার রাত ১১ টার দিকে মৃত অবস্থায় এক যুবককে হাসপাতালে আনা হয়। তাঁর বাম পা হাঁটুর নিচে বিচ্ছিন্ন ছিল। আর বুকের বাম পাশে গভীর ক্ষত ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, ফুসফুসে আঘাত ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ওই যুবকের মৃত্যু হয়।
মিরসরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) দীপ্তেশ রায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সুরতহাল শেষে জিয়াউলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।