নওগাঁর মহাদেবপুরে ব্যবসায়ীকে মারপিট ও চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলায় ছাত্রলীগের তিন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মহাদেবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ (৩০), ছাত্রলীগ কর্মী নয়ন হোসেন (২৫) ও ইমরান মহুরীকে (২২) মঙ্গলবার রাতে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আরএফএল ভিগো শোরুমের স্বত্বাধিকারী সোহেল রানার দোকানে ঢুকে তাঁকে মারধর করেন রাজু আহমেদ ও তাঁর সঙ্গীরা। এ ঘটনায় ৬ সেপ্টেম্বর রাজু ও নয়নসহ আরও ৬ থেকে ৭ জনের বিরুদ্ধে মহাদেবপুর থানায় চাঁদাবাজি ও মারধরের মামলা করেন ওই ব্যবসায়ী। মামলা হওয়ার পর থেকে এজাহারভুক্ত আসামিরা পলাতক ছিলেন। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে রাজু আহমেদ ও নয়ন হোসেনকে মহাদেবপুর উপজেলা সদরের একটি চাতালের গুদাম ঘর থেকে এবং ইমরান মহুরীকে মহাদেবপুর দক্ষিণপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার তিন আসামিকে আদালতের মাধ্যমে বুধবার সকালে নওগাঁ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত রোববার ব্যবসায়ী সোহেলের দোকানের সিসি ক্যামেরায় তাঁকে মারপিট করার ভিডিও ফুটেজ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তেই ওই ভিডিও ভাইরাল হয়। এরপর সোমবার মহাদেবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে জেলা ছাত্রলীগ।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির রহমান বলেন, ‘মহাদেবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজুর বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর সংগঠন থেকে ১০ সেপ্টেম্বর তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। তিন দিনের মধ্যে তাঁকে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তিনি তাঁর জবাব না দেওয়ায় তাঁকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।’