বন্ধুর বোনের সঙ্গে প্রেম করায় কিশোরকে হত্যা করা হয়: ডিবি
বন্ধুর বোনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কারণে ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার দাদরা গ্রামের কিশোর সামাদ মিয়াকে (১৫) হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ ঘটনায় অভিযুক্ত চার তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি।
আজ বুধবার সকালে ডিবির পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তারাকান্দা উপজেলার পঙ্গুয়াই উমেদ আলী উচ্চবিদ্যালয়ের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে সামাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য ময়মনসিংহের পুলিশ সুপারের নির্দেশে ঘটনার তদন্তে নামে ডিবি।
বিজ্ঞপ্তিতে ডিবি জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামিরা জানিয়েছেন, একই গ্রামের রবিন মিয়ার (১৯) সঙ্গে সামাদের বন্ধুত্ব ছিল। বন্ধুত্বের সুবাদে রবিনদের বাড়িতে সামাদের যাতায়াত ছিল। একপর্যায়ে রবিনের বোনের সঙ্গে সামাদের প্রেমের সম্পর্ক হয়। প্রেমের সম্পর্ক থেকে রবিন সামাদকে ফেরানোর চেষ্টা করলও সামাদ কথা শোনেনি। একপর্যায়ে রবিন সামাদকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
সামাদ পেশায় অটোরিকশাচালক ছিল। গতকাল সন্ধ্যা থেকেই পরিকল্পিতভাবে রবিন ও তাঁর বন্ধু রোহান মিয়া (২৪), মোস্তাজিুর রহমান ওরফে নাঈম (১৯) সামাদের অটোরিকশায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, শাহীনুল ইসলাম (২২) ও অজ্ঞাতনামা আরও দুজন উমেদ আলী উচ্চবিদ্যালয়ের পেছনে অপেক্ষা করতে থাকেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে অটোরিকশাটি রেখে রবিন, রোহান ও মোস্তাফিজুর কৌশলে সামাদকে নিয়ে বিদ্যালয়ের পেছনে একটি ঝোপের কাছে যান। সেখানে নিয়ে গিয়ে সামাদের গলায় প্লাস্টিকের দড়ি বেঁধে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয় সামাদকে। পরে তার লাশ সেপটিক ট্যাংকের ভেতর ফেলে রাখা হয়।
ডিবি আরও জানায়, গতকাল মঙ্গলবার রাতেই তারাকান্দা ও ফুলপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে রবিন, মোস্তাফিজুর, রোহান ও শাহীনুলকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি।
ময়মনসিংহ ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় নিহত সামাদের বাবা মো. শাহজাহান বাদী হয়ে গতকাল রাতে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। এ মামলায় আসামিদের আজ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।