ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি, কারাগারে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক

চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

বারবিকিউ পার্টির নামে বাসায় ডেকে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কুমার অনিমেষ ভট্টাচার্যকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ শুক্রবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এই আদেশ দেন।

আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি ও মারধরের মামলায় শিক্ষক কুমার অনিমেষ ভট্টাচার্যকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে উত্তরা পশ্চিম থানা-পুলিশ। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টর থেকে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পশ্চিম থানা–পুলিশ।

শিক্ষক কুমার অনিমেষ ভট্টাচার্য বেসরকারি শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির প্রভাষক।

শ্লীলতাহানির অভিযোগকারী একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী।

উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসীন প্রথম আলোকে বলেন, ভুক্তভোগী ছাত্রী মামলা করেছেন। তাঁর মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক অনিমেষকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরও পড়ুন

ঘটনার সঙ্গে নাহিদুল হক (২৫) নামের এক শিক্ষার্থীরও জড়িত থাকার অভিযোগ আছে বলে জানায় পুলিশ।

উত্তরা পশ্চিম থানা–পুলিশ জানায়, ছাত্রী তাঁর অভিযোগে বলেছেন, তাঁকে ৬ জুলাই রাতে বারবিকিউ পার্টির আমন্ত্রণ জানান নাহিদুল। নাহিদুলের বাসার এই পার্টিতে কে কে থাকছেন, তা জানতে চান ছাত্রী। নাহিদুল বলেন, কয়েকজন সহপাঠী ও শিক্ষক অনিমেষ থাকবেন। তখন ছাত্রী বলেন, এত রাতে যাওয়া সম্ভব নয়। পরে নাহিদুলের জোরাজুরিতে তিনি পার্টিতে যেতে রাজি হন।

ছাত্রীর ভাষ্য, তিনি তাঁর দুই ভাইকে সঙ্গে নিয়ে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টর এলাকায় নাহিদুলের বাসায় যান। তিনি ভাইদের বলেন, শিক্ষক অনিমেষের সঙ্গে দেখা করেই তিনি চলে আসবেন। এ সময় তিনি তাঁদের নিচে অপেক্ষা করতে বলেন।

ছাত্রীর অভিযোগ, নাহিদুলের বাসায় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষক অনিমেষ দরজা বন্ধ করে তাঁর শ্লীলতাহানি করেন। ঘটনার পর তিনি সেখান থেকে পালিয়ে আসেন। পরে শিক্ষক অনিমেষ ও নাহিদুল তাঁকে ফোন করেন। তাঁরা এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেন।