ছাত্রলীগ নেতা ফয়সালকে ১০ মিনিটে খুন করে ২০ জনের দল: র‍্যাব

কক্সবাজারে ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল উদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামি আজিজ সিকদার ( কালো শার্ট) ও ফিরোজ আলমকে ( হলুদ গেঞ্জি) গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। আজ বুধবার সকালে
ছবি: প্রথম আলো

কক্সবাজারের খুরুশকুলে ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল উদ্দিনকে (২৫) পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। গত রোববার সন্ধ্যায় খুরুশকুল ইউনিয়নের ডেইলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সম্মেলন শেষ করে অটোরিকশায় বাড়ি ফেরার পথে আটকানো হয় ফয়সালকে। এরপর কুপিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে খুন করা হয় তাঁকে। আজিজ সিকদারের নেতৃত্বে হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া ১৫ থেকে ২০ জনের দলটি পরে পালিয়ে যায়।

আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপ–অধিনায়ক মেজর মঞ্জুর মেহেদী।

আগের দিন মঙ্গলবার র‍্যাব অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামি আজিজ সিকদার ও ফিরোজ আলমকে গ্রেপ্তার করে।

আরও পড়ুন
ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল উদ্দিন

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আজিজ সিকদার ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যার দায় স্বীকার করে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন জানিয়ে মেজর মঞ্জুর মেহেদী বলেন, ঘটনাটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত। এই হত্যাকাণ্ডটি সংঘবদ্ধভাবেই হয়েছে। তবে হত্যার মূল উদ্দেশ্য জানা যায়নি। হত্যার সময় ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

আজিজ সিকদার খুরুশকুল ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মৃত বাঁচা মিয়া সিকদারের ছেলে এবং ফিরোজ আলম একই এলাকার সিরাজুল হক সিকদারের ছেলে। গ্রেপ্তার দুজনকে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানায় র‌্যাব।

পুলিশ জানায়, গত রোববার সন্ধ্যা সাতটার দিকে খুরুশকুল ইউনিয়নের ডেইলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন শেষ করে অটোরিকশায় বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে ফয়সাল উদ্দিনকে। তিনি কক্সবাজার সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ফয়সাল একই ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের কাউয়ারপাড়ার মৃত লাল মোহাম্মদের ছেলে।

ফয়সালের বড় ভাই নাছির উদ্দিন গতকাল মঙ্গলবার রাত সোয়া ১১টার দিকে বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় আজিজ সিকদারসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৭ থেকে ৮ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ সোমবার দুই নারীসহ ছয়জনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায়। যদিও এই ছয়জনের নাম মামলার এজাহারে উল্লেখ নেই।