চাঁদার দাবিতে ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগ
চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী রেলস্টেশন এলাকায় এক ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাত ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাত ও পেটায় দুর্বৃত্তরা। গতকাল দিবাগত রাত তিনটার দিকে ওই ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
নিহত ব্যবসায়ীর নাম মো. ফরিদ। তাঁর বাড়ি পটিয়া উপজেলায়। তবে তিনি পরিবার নিয়ে চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলীর আইডব্লিউ এলাকার ফাতেমা কলোনিতে থাকতেন।
পরিবারের অভিযোগ, দাবি অনুযায়ী চাঁদা না দেওয়ায় ফরিদকে এলাকার কিছু যুবক ছুরিকাঘাত ও পিটিয়ে হত্যা করেছে।
ফরিদের স্ত্রী নাহিদা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে পাহাড়তলী রেলস্টেশন মোড়ে মারধরের ঘটনা ঘটে। ফরিদের এক বন্ধু ফোন করে জানান, তাঁকে (ফরিদ) পেটানো হচ্ছে। আমি দ্রুত রেলস্টেশন মোড়ে যাই। বাসা থেকে মোড়ে যেতে ৩০ মিনিটের মতো সময় লাগে। পুরোটা সময় তাঁকে মারধর করা হয়। আমি গিয়ে দেখি, এলাকার মো. আলোসহ অন্তত ১৮-২০ জন লোক ফরিদকে পেটাচ্ছেন।
তাঁদের হাতে ছিল ছুরি, রামদা, লোহার রড, লাঠি। আমি একজনকে ধাক্কা দিই। তাঁরা আমাকেও লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। পরে তাঁরা চলে যান।’
নাহিদা আক্তারের ভাষ্য, পাহাড়তলী কাঁচাবাজারের পাশে রেলের কিছু জায়গা ফরিদের ভোগদখলে ছিল। এই জমি তিনি রেল থেকে ইজারা নিয়েছিলেন। ইজারার কাগজপত্রও আছে। ওই জায়গায় ছয়টি দোকান তৈরি করেছিলেন ফরিদ। এ জন্য এলাকার মো. আলোসহ কয়েকজন তাঁর কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু ফরিদ চাঁদা দিতে চাননি। তাই তাঁকে খুন করা হয়েছে।
নাহিদা আক্তারের অভিযোগের বিষয়ে মো. আলোর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডাবলমুরিং জোন) আরিফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, দোকান নিয়ে কিছু লোকর সঙ্গে ফরিদের পূর্বশত্রুতা ছিল। এলাকার একটা গ্রুপ বিভিন্ন সময় তাঁর কাছে টাকা দাবি করেছিল।
গতকাল রাতে কয়েক ব্যক্তি ফরিদের ওপর হামলা করে। তাঁকে ছুরিকাঘাত করা হয়। মারধর করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর দিবাগত রাত তিনটার দিকে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় কাউকে এখন পর্যন্ত আটক করা যায়নি। তবে অভিযান চলছে।