মাঠে বিএনপি-জামায়াতের অস্তিত্বই নেই। সারা দেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মন্দির-ঘরবাড়ি কিংবা ব্যক্তির ওপর যে হামলা হচ্ছে, এর সবগুলোই আওয়ামী লীগের নেতাদের দ্বারা কিংবা তাঁদের পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকারকে দায়িত্ব নিয়ে দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেছেন মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি ডি এন চ্যাটার্জী। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি।
মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতির অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে গতকাল রাতে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দলের অন্যতম মুখপাত্র মাহবুব উল আলম হানিফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই অভিযোগের ভিত্তি আছে বলে আমার মনে হয় না। তাঁর বোঝার ভুল থাকতে পারে। অনেক সময় সামাজিক দ্বন্দ্বের কারণে এবং সম্পত্তির ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে সমস্যা হয়। এটা আমাদের কানে এলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। তারপরও পূজা কমিটির সভাপতি আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ দিলে আমরা কঠোর আইনি ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার বলেন, দেশের হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সবাই মিলে এক হয়ে কাজ করলে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ভারতীয় দূতাবাসের ডেপুটি হাইকমিশনার আদর্শ সোয়াইকা।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুমন ভট্টাচার্য্য।
আলোচনা সভা শেষে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আয়োজিত ছোটদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী এবং শোভাযাত্রায় দৃশ্যপট তুলে ধরার দিক থেকে সেরা মন্দির কমিটিগুলোকে পুরস্কৃত করা হয়। সবশেষে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।