বরাদ্দ পাওয়া ৪৩৫ প্লটমালিকের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় বরাদ্দ পাওয়া ৪৩৫ প্লটমালিকের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। ছবিসহ প্লটগুলোর বর্তমান অবস্থা, নকশা (লে–আউট প্ল্যান) এবং জমি অধিগ্রহণ–সংক্রান্ত নথিও দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিবকে এসব তথ্যাদি দাখিল করতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন।

শিল্প এলাকায় প্লট বরাদ্দ নিয়ে ‘রাস্তাকে প্লট বানিয়ে ভাগাভাগি’ এবং ‘সড়ক প্রকল্প রাতারাতি হয়ে গেল শিল্প প্লট’ শিরোনামে দুটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনা হলে ২০১২ সালের ৯ মে হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন। রুলে বেগুনবাড়ি প্রকল্পের অভ্যন্তরে নামমাত্র মূল্যে প্লট বিক্রির ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা দায়েরের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। এতে পক্ষভুক্ত (ইন্টারভেনার হিসেবে) হয় হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)।

আদালতে প্লটমালিকদের পক্ষে আইনজীবী মইনুল হোসেন ও আবদুল আলীম মিয়া শুনানিতে ছিলেন। এইচআরপিবির পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম খন্দকার।

পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘হাইকোর্ট রুল দেওয়ার সময় পাঁচ সচিবের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে প্লট বরাদ্দে অনিয়ম বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলেছিলেন। প্রতিবেদনটি দাখিল করা হলেও তা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গত ৫০ বছরে তেজগাঁও শিল্প এলাকায় ৪৩৫ ব্যক্তিকে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে পূর্ত মন্ত্রণালয়ের দাখিল করা হলফনামায় এসেছে। এ অবস্থায় রুল শুনানিতে হাইকোর্ট ওই আদেশ দেন। আগামী ১৫ মার্চ পরবর্তী শুনানির তারিখ রেখেছেন।’