২ বছর আগে মৎস্যজীবী দলের নেতাকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মামলা, আসামি শেখ হাসিনা

শেখ হাসিনাফাইল ছবি: বাসস

প্রায় দুই বছর আগে গোলাপবাগে বিএনপির মহাসমাবেশের স্থান থেকে বাসায় ফেরার পথে মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ হেমায়েত উদ্দিনকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাজধানীর মুগদা থানায় মামলাটি রেকর্ড হয়েছে। মোহাম্মদ হেমায়েত উদ্দিন নিজেই বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়া ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের তৎকালীন সহকারী কমিশনার মো. রুহানী, সাবেক গোয়েন্দা প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, মুগদা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জামাল উদ্দিন ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আশিস, সবুজবাগ থানার ওসি প্রলয় কুমার সাহা এবং মুগদা এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ, মাহবুব হোসেন, শহিদুল ইসলামসহ ৩৩ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বাদীর অভিযোগ, ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর বিএনপির মহাসমাবেশের জন্য গোলাপবাগ মাঠ নির্ধারণ করা হয়। এর আগের দিন সন্ধ্যার দিকে গোলাপবাগ মাঠে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বিএনপির নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন মোহাম্মদ হেমায়েত উদ্দিন। রাত ১১টার দিকে গোলাপবাগ মাঠ থেকে বের হওয়ার পরপর গোয়েন্দা পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতারা তাঁর মাথায় অস্ত্র ঠেকান এবং তাঁকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করেন।

মামলায় আরও অভিযোগ আনা হয়, একপর্যায়ে আসামিরা বাদীর বাঁ পায়ের হাঁটুর কাছে গুলি করা হয় এবং হাতুড়ি দিয়ে তাঁকে পেটানো হয়। এরপর তাঁর জামাকাপড় খুলে সেগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে বাদীর গায়ে আগুন ধরিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সারা দেশে ২৫৬টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে হত্যা মামলার সংখ্যা ২১৫।