নতুন করে ইটভাটার অনুমোদন দেওয়া হবে না: পরিবেশ উপদেষ্টা

বাংলাদেশ ও ভুটানের জন্য বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক (বাঁয়ে) এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানছবি : বাসস

নতুন করে কোনো ইটভাটার অনুমোদন দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ‘অবৈধ ইটভাটাগুলোর ক্ষেত্রে ইটভাটার মৌসুম আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাচ্ছি না। এর আগেই চেষ্টা করছি এগুলো বন্ধ করতে।’

আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ও ভুটানের জন্য বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সঙ্গে বৈঠক করে।

লাইসেন্স বা ছাড়পত্রহীন ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়া হবে জানিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘অবৈধ ইটভাটার ক্ষেত্রে কোনো সহানুভূতি দেখাব না। সেগুলো বন্ধ হলে উন্নয়নে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করি না। নীতিগত একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এখন থেকে আমরা আর কোনো নতুন ইটভাটার লাইসেন্স দেব না। আমাদের কাজ হবে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং সেগুলোর বিকল্প কম হতে পারে, সেটি বের করা।’

বিশ্বব্যাংক পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়কে এবং পরিবেশ অধিদপ্তরকে কিছু কিছু প্রকল্প সহায়তা দিচ্ছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের প্রত্যাশা দ্রুত পূরণ করতে পারলে অন্তর্বর্তী সরকারকে এই প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে বাজেট সহায়তা দেওয়া তাদের জন্য সহজ হবে।’

কিছু কিছু নদী পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘নতুন করে তাদের (বিশ্বব্যাংক) কাছে প্লাস্টিক, পলিথিন, শব্দদূষণ ও কয়েকটি নদীতে দূষণ নিয়ে কথা বলেছি।’

বিশ্বব্যাংক কী ধরনের সহায়তা দেবে এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে, সবচেয়ে দূষিত নদী ও দূষণকারীদের তালিকা করতে। সেগুলো যখন আমরা পাব, তখন একটি নজরদারি পরিকল্পনা করতে পারব। তাই বিস্তারিত নতুন রূপরেখা এখনো তৈরি হয়নি। তবে একটি রূপরেখা তো আছেই। সেখানে নতুন নতুন উপাদান যুক্ত করা যায় কি না, তা নিয়ে কথা হয়েছে। তারা সর্বাত্মক সহায়তা করার কথা জানিয়েছে।’

রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘বায়ুদূষণ এক দিনে সমাধান হবে না। কিন্তু এই শীতের আগে যেন বায়ুদূষণের কয়েকটি উৎস নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, সে জন্য বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা করছি। বায়ুদূষণ প্রশমনের পরিকল্পনা ও বাজেট না দেখালে নতুন করে নির্মাণকাজের অনুমোদন দেওয়া হবে না। নির্মাণকাজ হবে, কিন্তু বায়ুদূষণ করে নয়। স্বল্প ব্যয়েই এটি করা সম্ভব।’