১০ জেলায় শুরু অ্যান্টিজেন পরীক্ষা, সব জেলায় শিগগিরই
দেশের ১০টি জেলায় আজ শনিবার শুরু হয়েছে বিনা মূল্যে করোনার অ্যান্টিজেন পরীক্ষা। সকালে জুম অ্যাপের মাধ্যমে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসায় নমুনা পরীক্ষা খুবই প্রয়োজন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেশের সব জেলাতে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু করা হবে।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান পরীক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনা করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
জুমের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা, ১০টি জেলার সিভিল সার্জন, জেলা সদর হাসপাতালগুলোর পরিচালকেরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
যে ১০টি জেলায় অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু হয়েছে সেগুলো হচ্ছে গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, জয়পুরহাট, যশোর, মেহেরপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পটুয়াখালী, মুন্সিগঞ্জ, মাদারীপুর ও সিলেট। কারও শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে কি না, সেটি অ্যান্টিজেন পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায়। এই পরীক্ষা করা যায় ১৫ থেকে ৩০ মিনিটে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, দেশের সব জেলাতে আরটিপিসিআর টেস্ট করার সুযোগ নেই, ল্যাব নেই। কারণ আরটিপিসিআরের জন্য বায়োসেফটি ল্যাব প্রয়োজন হয়, যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং অনেক সময়সাপেক্ষ বিষয়। তাই যেখানে পিসিআর ল্যাব নেই, সেখানে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার মাধ্যমে সুযোগ–সুবিধা বাড়ানো গেল। আর অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ফলাফল খুব সহজে পাওয়া যাবে। এসব জেলার মানুষ সুবিধা পাবে। তিনি জানান, অ্যান্টিজেন পরীক্ষা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী করা হচ্ছে।
এখন রোগী শনাক্ত করা খুব প্রয়োজন। রোগী শনাক্ত করে তাদের দ্রুত চিকিৎসার আওতায় আনা যাবে। তবে তার থেকেও প্রয়োজন সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করা।
সম্প্রতি কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে এবং মৃত্যুর হারও বাড়ছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, এখন রোগী শনাক্ত করা খুব প্রয়োজন। রোগী শনাক্ত করে তাদের দ্রুত চিকিৎসার আওতায় আনা যাবে। তবে তার থেকেও প্রয়োজন সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করা।
স্বাস্থ্যসেবা সচিব আবদুল মান্নান বলেন, করোনা মোকাবিলায় প্রতিদিনই নতুন নতুন কাজ করা হচ্ছে। এই শীতে কীভাবে জনগণক আরেকটু সুরক্ষা দেওয়া যায়, সে চেষ্টা সরকার করছে। প্রাথমিকভাবে প্রান্তিক জেলা যেখানে আরটিপিসিআর পরীক্ষার সুযোগ নেই, সেসব জেলাতে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা চালু করা হয়েছে।
সন্দেহভাজন রোগীর উপসর্গ থাকার পরও অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় নেগেটিভ এলে পিসিআর বা জিন এক্সপার্ট পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যাবে। আর অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় পজিটিভ হলে ওই ব্যক্তিকে নিশ্চিত পজিটিভ হিসেবে গণ্য করা হবে।
বড় হাসপাতাল ও করোনার জন্য নির্ধারিত হাসপাতালেও অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু করা হবে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
কার্যক্রম উদ্বোধনের পর যশোর সদর হাসপাতালে ১৫ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে প্রথম তিনজন সন্দেহভাজন রোগীর অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হয়। প্রথম দুই পরীক্ষাতে নেগেটিভ এসেছে বলে সেখান থেকে জানানো হয়।
যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহিন বলেন, অনেক দিন ধরে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা ছিল। জনগণেরও চাহিদা ছিল। এতে রোগী দ্রুত চিহ্নিত করা এবং তাদের আইসোলেশন ও চিকিৎসা করা সম্ভব হবে।
যে ১০টি জেলায় অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু হয়েছে সেগুলো হচ্ছে গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, জয়পুরহাট, যশোর, মেহেরপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পটুয়াখালী, মুন্সিগঞ্জ, মাদারীপুর ও সিলেট। কারও শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে কি না, সেটি অ্যান্টিজেন পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায়। এই পরীক্ষা করা যায় ১৫ থেকে ৩০ মিনিটে।
প্রাথমিকভাবে প্রান্তিক জেলা যেখানে আরটিপিসিআর পরীক্ষার সুযোগ নেই, সেসব জেলাতে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা চালু করা হয়েছে।
সন্দেহভাজন করোনা রোগী, যাঁদের উপসর্গ রয়েছে, শুধু তাঁদেরই অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হবে। অ্যান্টিজেন পরীক্ষার জন্য সরকার এখনো কোনো ফি নির্ধারণ করেনি। জেলা সদর হাসপাতালে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হবে।
সন্দেহভাজন রোগীর উপসর্গ থাকার পরও অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় নেগেটিভ এলে পিসিআর বা জিন এক্সপার্ট পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যাবে। আর অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় পজিটিভ হলে ওই ব্যক্তিকে নিশ্চিত পজিটিভ হিসেবে গণ্য করা হবে।