পাবনায় এক দিনের ব্যবধানে করোনা শনাক্তের হার বেড়েছে ৯ শতাংশ
পাবনায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১২৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৩৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ। আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ২৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এক দিনের ব্যবধানে শনাক্তের হার প্রায় ৯ শতাংশ বেড়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জুলাই মাসে শনাক্তের হার ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও টানা কঠোর বিধিনিষেধ চলায় আগস্টের প্রথম থেকেই শনাক্তের হার কমতে শুরু করে। গত ৩০ জুলাই সর্বশেষ শনাক্তে হার ছিল ২৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এরপর আগস্টের প্রথম ১০ দিন গড় শনাক্তের হার ছিল ১১ দশমিক ১৩ শতাংশ।
১২ আগস্ট থেকে শনাক্তের হার আবার বাড়তে শুরু করে। ওই দিন ৩৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এরপর ১৫ আগস্ট ৩৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮৮ জন শনাক্ত হন। শনাক্তের হার ছিল ২৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ। সর্বশেষ আজ সোমবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ। একই সময়ে করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
পাবনা জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সংক্রমণের হারের সঙ্গে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যাও ওঠানামা করছে। জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে এক দিনে সর্বোচ্চ ১৩৫ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে রোগী ভর্তির সংখ্যা কমতে শুরু করে। আগস্টের প্রথম সপ্তাহে গড় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৫৫ জনে নেমেছিল।
তবে ১০ আগস্টের পর থেকে করোনায় আক্রান্ত রোগী ভর্তির সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। এরপর থেকে প্রতিদিন হাসপাতালে গড়ে ৬৫ থেকে ৭০ জন রোগী ভর্তি ছিল। আজ সোমবার বিকেলে পর্যন্ত ৬৬ জন রোগী ভর্তি আছেন।
জানতে চাইলে জেলা সিভিল সার্জন মনিসর চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, বিধিনিষেধ না মানলে সংক্রমণ বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক। বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর থেকে অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। মাস্ক পরতেও মানুষের অনীহা রয়েছে। ফলে গত কয়েক দিনে সংক্রমণ কিছুটা বেড়েছে। এমন চলতে থাকলে আবার বিধিনিষেধ চাওয়া হবে।
গত বছরের ১৬ এপ্রিল জেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর থেকে সংক্রমণ হার তুলনামূলকভাবে কম থাকলেও চলতি বছরে মে মাস থেকে আবার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। মে মাসে ৪৬১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। পরের মাসে শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ১ হাজার ৫৬৫। আগের সব রেকর্ড ভেঙে জুলাই মাসে ৫ হাজার ১৭৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়।
জেলায় এখন পর্যন্ত মোট ১১ হাজার ৪৮৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেছেন ৩৯ জন।