দাদির হাত ধরে ৬০০ মাস্ক
করোনাভাইরাস মহামারি ঠেকাতে মানুষে মানুষে দূরত্বটা এখন জরুরি। তবে সামাজিক দূরত্ব তৈরি হলেও যে মানুষের জন্য মানুষের মমত্ববোধ হারায় না—এমন উদাহরণ তৈরি করছেন অনেকে। তেমনি একজন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের শিকাগোর এক বৃদ্ধ দাদিমা তেরেসা প্রভো। তাঁর উদ্যোগে স্থানীয় একি নার্সিং হোমের জন্য ছয় শতাধিক করোনারোধী মাস্ক তৈরি হয়েছে।
৮৯ বছর বয়সী তেরেসা এখন দিনের অনেকটা সময় ব্যয় করছেন মাস্ক সেলাই করে। গুড নিউজ নেটওয়ার্কসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে এসেছে তাঁর গল্প।
করোনাভাইরাস মহামারির প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে মার্চ মাস থেকে সারা বিশ্বের বেশির ভাগ জায়গায় লকডাউন জারি করা হয়। তেরেসা শঙ্কিত হয়ে পড়েন সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নিজের স্বজনদের নিরাপত্তার কথা ভেবে। তবে শুধু আশঙ্কা নিয়ে বসে থাকেননি, কিছু করার কথাও ভেবেছেন তেরেসা।
যতটুকু সম্ভব পেরেছেন, কাপড় জোগাড় করে কাজে লেগে পড়েন তিনি। নিজের পরিবারের সদস্য ও বন্ধু মিলিয়ে ৫০ জনের জন্য মাস্ক বানান তিনি। বিটলসের ভক্ত তেরেসা। বিটলসের গান শুনতে শুনতে বানিয়ে ফেলেন মাস্কগুলো। এরপর সেই মাস্ক ডাকে পাঠিয়ে দেন শিকাগো, উইসকনসিন, ফ্লোরিডা, মিনেসোটা ও ক্যালিফোর্নিয়ায় থাকা স্বজনদের কাছে। মজার বিষয় হচ্ছে, পরিবারের কোন সদস্য কী পছন্দ করেন, মাস্ক তৈরিতে সেটাও মাথায় রেখেছেন তেরেসা। কাপড় বাছাইয়ের সময় সেই অনুযায়ী বাছাই করেছেন। কারও জন্য খেলার ছাপাওয়ালা কাপড়, কারও জন্য প্রিয় লেককের। আর সব মাস্কের সঙ্গে পাঠিয়েছেন ভালোবাসা প্রকাশ করে ছোট্ট নোট।
অল্প কিছুদিনের মধ্যে তেরেসার সঙ্গে মাস্ক তৈরিতে যোগ দেন তাঁর পরিচালিত প্রবীণ সংগঠন 'রেড হাট ক্লাবের' সদস্যরা। তাঁরা সবাই মিলে স্থানীয় একটি নার্সিং হোমের জন্য দুই সপ্তাহের মধ্যে ছয় শ'র বেশি মাস্ক বানিয়ে ফেলেছেন। এতেই থেমে যাননি। কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।