করোনায় ২৪ জনের প্রাণহানি, তিন বিভাগে কেউ মারা যাননি

করোনা সংক্রমণ কমায় খোলা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

দেশে করোনায় মৃত্যু, রোগী শনাক্তের সংখ্যা ও শনাক্তের হার—সবই কমেছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার সকাল আটটা থেকে শুরু করে আজ বৃহস্পতিবার সকাল আটটা পর্যন্ত) দেশের তিনটি বিভাগে কারও মৃত্যু হয়নি। গত জুনে দেশে করোনার ডেলটা ধরনের দাপট শুরু হওয়ার পর এই প্রথম তিনটি বিভাগে মৃত্যুহীন দিন কেটেছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় রোগী শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ১৪৪ জন। আগের দিন ৩৬ জনের মৃত্যু হয়। আর রোগী শনাক্ত হয়েছিল ১ হাজার ৩৭৬ জন।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রামে মারা গেছেন ৬ জন। রাজশাহী, বরিশাল ও ময়মনিসংহ বিভাগে কোনো মৃত্যু হয়নি। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ এবং ১৪ জন নারী।

গত ২৪ ঘণ্টায় আগের দিনের চেয়ে রোগী শনাক্তের হারও কমেছে । এ সময় ২৪ হাজার ৮২০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

এ নিয়ে টানা তিন দিন দেশে করোনা রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে বলে ধরা হয়।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এ ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ।

এরপর বিভিন্ন সময়ে সংক্রমণ কমবেশি হলেও গত জুন থেকে করোনার ডেলটা ধরনের দাপটে সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ে। এর মধ্যে আগস্টে দেশে করোনার গণটিকাদান শুরু হয়। গত মাসের শেষ দিক থেকে দেশে করোনা সংক্রমণ ও এতে মৃত্যু কমতে শুরু করে।

সব মিলিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ৩২০ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৭ হাজার ৭৮৯ জন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৬৫৩ জন।